সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ সেন্টিমিটার কমলেও এখনো বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে বানভাসিদের একমাত্র আশ্রয়স্থল বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যে কোনো সময় বাঁধটি ভেঙে যেতে পারে। ফলে বাঁধে আশ্রয় নেওয়া ২৫ হাজার পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। কোনো কোনো স্থানে মাইকিং করে বাঁধে আশ্রয় নেওয়া লোকজনকে সতর্ক করা হচ্ছে।
এ ছাড়া বগুড়ার সারিয়াকান্দি, ধুনট ও সোনাতলা উপজেলার ৪৫ কিলোমিটার বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্টে লিকেজ, ইদুরের গর্ত এবং ফাটল দিয়ে পানি বের হচ্ছে। শিমুলবাড়ি পয়েন্টে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, ঠিকাদার ও স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লোকজন নিয়ে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করছেন।
ধুনটের ভাণ্ডারবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শ্যামল তালুকদার জানান, শিমুলবাড়ি যে জায়গায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ চুইয়ে পানি আসছে সেখানে ২০০৩ সালে ভেঙে গিয়েছিল। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের গুরত্বের সঙ্গে দেখা উচিৎ।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমীন জানান, বাঁধের ওপর যেখানে বসতি আছে, সেখানেই বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ বেশি। বাড়িঘর নির্মাণ করায় ইদুরের গর্ত দিয়ে পানি চুইয়ে ভিতরে প্রবেশ করছে। ফলে বাঁধ ক্রমশ: দুর্বল ও ঝুঁকির্পূণ হয়ে পড়ছে। তবে আমরা তা চিহিৃত করে মেরামতের জন্য কাজ করছি।
সূত্র: রাইজিংবিডি