বৃহস্পতিবার , ২০ জুন ২০২৪ | ১৩ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

কোরবানি বেশি হলেও অবিক্রীত ২৬ লাখ পশু

Paris
জুন ২০, ২০২৪ ১২:৪৬ অপরাহ্ণ

 

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক

এবার ঈদুল আজহায় গত বছরের চেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে। কিন্তু অবিক্রীত পশুর সংখ্যা বেড়েছে। সরকারি হিসাবে এবার ২২ লাখ ৭৭ হাজার ৯৭৩টি পশু অবিক্রীত থাকার কথা বলা হলেও ঈদের পর দেখা যাচ্ছে এ সংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ। খামারিরা বলছেন, এবার ছোট ও মাঝারি গরুর বিক্রি ভালো হলেও বড় গরুর বিক্রি গতবারের চেয়ে কম। অবিক্রীত গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। অন্যদিকে ক্ষতি কমাতে কাক্সিক্ষত দামের চেয়ে কমে বিক্রি করেছেন অনেক খামারি।

ঈদের আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, কোরবানির ঈদ সামনে রেখে সারাদেশে এবার গবাদিপশুর সম্ভাব্য চাহিদা ১ কোটি ৭ লাখ ২ হাজার ৩৯৪টি। যার বিপরীতে দেশে কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি। যা গত বছরের তুলনায় ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪টি বেশি। প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান জানিয়েছিলেন, এবার চাহিদার চেয়ে ২২ লাখ ৭৭ হাজার ৯৭৩টি অতিরিক্ত গবাদিপশু রয়েছে। কিন্তু ঈদের পর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঈদুল আজহায় মোট ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে। গত বছর সারাদেশে কোরবানিকৃত গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি। অর্থাৎ গত বছরের চেয়ে এবার কোরবানি হওয়া পশুর সংখ্যা ৩ লাখ ৬৭ হাজার ১০৬টি বা ৩.৭ শতাংশ বেশি।

প্রস্তুতকৃত পশু ও কোরবানি হওয়া পশুর হিসাব অনুযায়ী, এ বছর অবিক্রীত রয়েছে ২৫ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৯টি পশু। গত বছর অবিক্রীত পশুর সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫১২টি। গত বছর কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি এবং কোরবানি হয় ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি। এত পশু অবিক্রীত থাকায় এবারও ক্ষতির মুখে পড়েছেন খামারি ও ব্যাপারিরা। এর মধ্যে বেশি বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। কারণ, বড় গরুর লালন-পালনে খরচ বেশি। তারা বলছেন, অবিক্রীত এ গরু আগামী বছর পর্যন্ত রেখে দিলে মাংস খুব একটা বাড়বে না, কিন্তু খাবারসহ অন্যান্য খরচ বহন করতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার দাম তুলনামূলক বেশি থাকলেও ছোট ও মাঝারি গরুর সিংহভাগই বিক্রি হয়ে গেছে। খুব একটা ফেরত নিয়ে যেতে হয়নি। ব্যপারিরাও এবার চাহিদা বুঝে অল্প অল্প করে শহরাঞ্চলে পশু তুলেছেন। ফলে বেশি গরু ফিরিয়ে নিতে হয়নি। অবিক্রীত পশু এলাকায় থেকে যাওয়ায় ক্ষতি কম হয়েছে। অবিক্রীত পশুর মধ্যে এবার বড় আকারের পশুই বেশি।

খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি মো. ইমরান হোসেন বলেন, গত বছর অনেক গরু বিক্রি না হওয়ায় ফেরত গেছে। কিন্তু এবার সেভাবে ফেরত যায়নি। যেগুলো অবিক্রীত ছিল সেগুলোর বেশিরভাগই এলাকায় রয়েছে। তবে বড় গরুর ক্ষেত্রে চিত্র ভিন্ন। গত বছরের চেয়ে এবার বড় গরুর বিক্রি ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কম। পশু অবিক্রীত থাকলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষতির মুখে পড়তে হয় খামারিদের।

ইমরান হোসেন বলেন, ৯৮ শতাংশ গরুই দেড় লাখ টাকার নিচে বিক্রি হয়। আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা দামের মধ্যে দেড় শতাংশ গরু, আর বাকি অংশ শৌখিন গরুর বাজারের। তিনি বলেন, বড় গরু লালন-পালনে ব্যয় বেশি। কোরবানির বাজারের অবিক্রীত ছোট বা মাঝারি গরু পরে কসাইদের কাছে বিক্রি করা যায়। কিন্তু কোরবানি ছাড়া বড় গরুর চাহিদা তেমন নেই বললেই চলে।

মাঠপর্যায়ের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বলছে, কোরবানি হওয়া গবাদিপশুর মধ্যে ৪৭ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫৯টি গরু, ১ লাখ ১২ হাজার ৯১৮টি মহিষ, ৫০ লাখ ৫৬ হাজার ৭১৯টি ছাগল, ৪ লাখ ৭১ হাজার ১৪৯টি ভেড়া এবং ১ হাজার ২৭৩টি অন্যান্য পশু।

এ বছর সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে; ৩ লাখ ৯২ হাজার ৫১৭টি এবং সবচেয়ে বেশি হয়েছে ঢাকা বিভাগে; ২৫ লাখ ২৯ হাজার ১৮২টি। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫৭ হাজার ৫২০টি, রাজশাহী বিভাগে ২৪ লাখ ২৬ হাজার ১১১টি, খুলনা বিভাগে ১০ লাখ ৮ হাজার ৮৫৫টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৪৩৮টি, সিলেট বিভাগে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৪২টি, রংপুর বিভাগে ১১ লাখ ৭২ হাজার ৫৫৩টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৫১৭টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে।

 

 

সর্বশেষ - জাতীয়