বৃহস্পতিবার , ১৩ জুন ২০২৪ | ১২ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

যুগান্তর পত্রিকায় মেয়রসহ তার পরিবারকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

Paris
জুন ১৩, ২০২৪ ১১:১৮ অপরাহ্ণ

গত ১১ই জুন, ২০২৪ তারিখে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় “এমএলএম-এর আদলে ৮০০ কোটি টাকা সংগ্রহ, বিদেশে পাচারের নীলনকশা’’ শিরোনামে ও ১২ জুন প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকায় ‘দেশের টাকা কোথায় ঢালছে আমানা গ্রুপ’ শিরোনামে প্রকাশিত এবং ১৩ জুন যমুনা টেলিভিশনে প্রচারিত সংবাদের কিছু অংশে আমি এবং আমার পরিবারকে জড়িয়ে মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং মানহানিকর তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এসব বিভ্রান্তিকর তথ্য এবং অভিযোগ আমাকে ব্যক্তিগতভাবে ব্যথিত এবং বিব্রত করেছে, একই সঙ্গে আমার দীর্ঘ সংগ্রামমুখর স্বচ্ছ রাজনৈতিক ইমেজকে অন্যায়ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ওই প্রতিবেদনে আমার পরিবার এবং আমাকে জড়িয়ে যেসব অপতথ্য, মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে তার ব্যাখ্যা এবং প্রতিবাদ নিম্নরূপ:

১. যুগান্তর পত্রিকায় সিবন্ড শিপিং নামের একটি সীমিত দায়বদ্ধ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে আমাকে উল্লেখ করে এর মাধ্যমে ‘ব্রিটেনে রহস্যময় কোম্পানি’ এবং ‘পাকিস্তান-দুবাই-ভারত কানেকশান’ সাব-হেড দিয়ে ওই প্রতিবেদনটিতে যেসব বর্ণনা দেয়া হয়েছে, তাতে কোন উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়াই আমার এবং আমার মেয়ের নাম যুক্ত করা হয়েছে। সর্বৈব মিথ্যা এই তথ্য এবং আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সঙ্গে নেতিবাচকভাবে আমার ও আমার মেয়ের নাম যুক্ত করার বিষয়টি নিঃসন্দেহে গভীর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কোন সুদূর প্রসারি ষড়যন্ত্রের অংশ।

২. আমার স্ত্রী শাহীন আকতার রেণী উত্তরায়ণ আমানা সিটি নামের যৌথ মূলধনী কোম্পানির চেয়ারম্যান ছিলেন, যা দেশে রাষ্ট্রীয় আইনে বৈধভাবে নিবন্ধিত আবাসন খাতের একটি প্রতিষ্ঠান। অন্যান্য প্রতিষ্ঠিত আবাসন প্রতিষ্ঠানের মতই এই প্রতিষ্ঠানটি জমি কিনে তা প্লট আকারে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে আসছে। রাজশাহী নগরী উত্তর অংশের আবর্জনাপূর্ণ অগোছালো নগরায়নকে একটি সুশৃঙ্খল কাঠামো দিতে এই উদ্যোগের শুরু। একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্যান্য উদ্যোক্তাদের অনুরোধে আমার স্ত্রী সেখানে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন।

উল্লেখ্য, গত ১লা জানুয়ারী, ২০২৩ ইং তারিখের বোর্ড সভায় তিনি উল্লেখিত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন এবং সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এছাড়াও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের যে কোন অভিযোগ আমার কাছে আসলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ৩. দীর্ঘ তিন মেয়াদ জুড়ে আমি অক্লান্ত প্রচেষ্টা এবং প্রশ্নাতীত সদিচ্ছার মাধ্যমে সুন্দর এবং বাসযোগ্য শহর হিসেবে রাজশাহীকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছি, যা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে স্বীকৃতি লাভ করেছে। অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিকভাবে এই নগরীকে আরো এগিয়ে নিতে আমি সরকারের কাছে এই নগরীতে একটি নদীবন্দর তৈরির চেষ্টা চালিয়ে আসছি। এ বিষয়ে আমি আপাতত বেসরকারি উদ্যোগে একটি নদীবন্দর স্থাপনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছি এবং ‘রাজশাহী পোর্ট পিএলসি’ নামের একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি গঠন করেছি।

উদ্যোক্তাদের মধ্যে একজন আমানা গ্রুপের ফজলুল হক হলেও এটি কোনভাবেই আমানা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান নয়। এই কোম্পানিতে এখনও পর্যন্ত কোন ধরণের আর্থিক লেনদেন দূরের কথা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পর্যন্ত খোলা হয়নি। তারপরও এটিকে টাকা পাচারের মাধ্যম হিসেবে দেখিয়ে যে কল্পিত দৃশ্যপট ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তা অমূলক, বিভ্রান্তিকর এবং বিব্রতকর।

এর মাধ্যমে রাজশাহী নগরী এবং এর গণমানুষের উন্নয়নে আমার সার্বিক প্রচেষ্টাকেও খাটো করা হয়েছে। আমানা গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কোথায় কিভাবে ব্যবসা করছে তা সংগতভাবেই আমার জানার কথা নয় এবং সেসব ব্যবসা কিংবা উদ্যোগে আমি কোনভাবে যুক্ত নই। কাজেই উল্লিখিত প্রতিবেদনটিতে আমার এবং আমার পরিবারের নামে যেসব বিভ্রান্তিকর, মানহানিকর এবং অসত্য তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তাতে আমরা ক্ষুব্ধ।

আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

ধন্যবাদসহ এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন

মেয়র, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর