স্পোর্টস ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচে হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় পাকিস্তান। কানাডাকে হারিয়ে তারা সেই স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে। যদিও বাবর আজমদের সুপার এইটে ওঠা অনেকটাই আটকে আছে যদি-কিন্তু’র সমীকরণে। সবমিলিয়ে এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্স দেখে পাকিস্তানের এই দলকে ‘সবচেয়ে ভীতু’ মনে হচ্ছে সাবেক ক্রিকেটার ইমরান নাজিরের।
ডালাসে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান বড় আপসেটের শিকার হয় স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে। ম্যাচটি প্রথমে ড্র করে বিশ্বকাপের আয়োজকরা, পরে সুপার ওভারে তাদের নেওয়া ১৮ রান পার করতে পারেননি বাবর–ফখর জামানরা। দ্বিতীয় ম্যাচে নিউইয়র্কের নাসাউতে ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেন নাসিম শাহ, হারিস রউফ, মোহাম্মদ আমির ও শাহিন শাহ আফ্রিদির সমন্বয়ে গড়া পেস বিভাগ। অথচ ব্যাটিং ব্যর্থতায় ম্যাচটিতে তারা পরাজিত হয় ৫ রানে।
তৃতীয় ম্যাচে গ্রুপের তুলনামূলক সবচেয়ে দুর্বল দল কানাডার বিপক্ষে প্রথম জয় দেখে পাক শিবির। তবে ম্যাচটিতেও তাদের সেরকম দাপট ছিল না। পাকিস্তানের এমন পারফরম্যান্স দেখে মোটেও খুশি নন সাবেক ওপেনার ইমরান নাজির। সে কারণে বর্তমান দলটিকে ‘ভীতু’ দাবি করে যেকোনো কন্ডিশনেই ক্রিকেট কোনো অজুহাতের জায়গা নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পাকিস্তানের একটি রিয়েলিটি শো’তে ইমরান বলেন, ‘আমি দুঃখিত, কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি যে ক্রিকেট হচ্ছে নির্ভীকদের খেলা। এই দলের মতো ভীতু দল দেখিনি আমি। তারা এখন নতুন কী অজুহাত সাজাবে, তা নিয়ে আমি প্রায়ই আলোচনা করি। ক্রিকেট অজুহাতের কোনো জায়গা নেই। আপনি যেমন পিচ বা কন্ডিশনের সম্মুখীন–ই হন না কেন, আপনি খেলতে বাধ্য।’
ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ম্যাচ হারলেও, বোলারদেরও সমালোচনা করেছেন ইমরান, ‘যে দলে কোনো মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান নেই যে কি স্ট্রাইকরেট বাড়িয়ে খেলতে পারে, আপনি কীভাবে সেই দলকে নিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের প্রত্যাশা করতে পারেন? আট ব্যাটসম্যান থাকা সত্ত্বেও ৪০ রান করতে ব্যর্থ হয়েছে এই দল। প্রথমে নিশ্চিত হতে হবে আপনি কি পেতে চান। আপনার না কোনো দক্ষ ব্যাটার আছে না বোলার, কিছুই নেই।’
পাকিস্তান নিজেদের শেষ ম্যাচে ১৬ জুন আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। সুপার এইটে উঠতে হলে সেই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই বাবর-শাহিনদের সামনে। তবে তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে আয়ারল্যান্ডের অপর ম্যাচের দিকেও। যেখানে আইরিশরা যুক্তরাষ্ট্রের মোকাবিলা করবে। ম্যাচটিতে যুক্তরাষ্ট্র হারলেও তাদের সঙ্গে পাকিস্তানের সমান ৪ পয়েন্ট হবে, এরপর দেখা হবে দুই দলের নেট রানরেট।