সতীর্থ
একবার এক দর্শনার্থী শিবিরে আশ্রয় হলো তোমার।
অথবা ধরো একটা আকাশ ও একটা পৃথিবী
উপহার হিসেবে দেওয়া হলো তোমাকে।
পথচারী বদঅভ্যাস তোমার; বনবন করে ঘুরছে দুনিয়া
আর তুমি হেঁটে চলো যেন আসমান সমেত লুকিয়ে রেখেছিলা—
‘পৃথিবীটা সেই থেকে গোল হলো
অথবা আশ্চর্য কাণ্ড হলো সবে পৃথিবীর গোপন অক্ষরে’
অথবা পৃথিবী ঘুরে। আকাশ ঘুরে কিনা!
তেমন আর মানি না দ্বিমিক যাত্রায় এমন—
আকাশের অভাবে বাতিল শুমারি তোমার দর্শনার্থী সন্ধ্যায়!
একা একা কত যাবে?
ব্যক্তিগত
আমি তখন বসে পড়লাম
নতুবা নত আমি আপনার কাছে লৌহজল প্রার্থনা করলাম
তুমি অথবা একলা একজন আমি।
অতঃপর, একেবারে খুব কাছের জারুলপাড়ে,
আমাদের ইউরেনিয়াম সঙ্গমের সুগন্ধি স্বর শুনে
জলকেলি করে তোমার এবং আমার ঈশ্বর, সরবতকামী।
আড়ং
সিঁথি কেটে বেহুলার গান ভেসে যায় বাতাসে
আড়ি পেতে শুনতে যায় মনসার অপমানবোধ বটে…
সহনীয় সব বিকাল কেড়ে নেওয়া হয়
বালিকার ঠোঁটের অবয়বও
এমন বিমর্ষ আওয়াজ রটে গ্যাছে…
বড় থেকে ছোট সব শিশুদের দল
বায়োস্কোপের ফুটোয় চোখ দুটি রান্না হতে দ্যাখে।