রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানা এলাকা থেকে ছিনতাই ও দোকান চুরি ঘটনায় চোর চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার নগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশ বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার লোহাচুড়া গ্রামের শাহ আলমের ছেলে রবিউল ইসলাম সুরুজ (২৯)।
বর্তমান তিনি নগরীর রাজপাড়া থানার বহরমপুর অচিনতলা বসবাস করে। এছাড়া কাশিয়াডাঙ্গা থানার পূর্ব মোল্লাপাড়ার মৃত ওমর আলীর ছেলে মিলন (৩৪), রাজপাড়া থানার লক্ষীপুর বাকির মোড়ের সেলিম হোসেনের ছেলে সম্রাট হোসেন (২৮) একই থানার ডিঙ্গাডোবা নিমতলার দোলঙ্গীর আলীর ছেলে মো: সাব্বির হোসেন সোহান (২০), আলীগঞ্জ পূর্বপাড়ার মৃত ডাবলুর ছেলে মো: হাসিবুল হাসান হাসিব (২৬) এবং বসুয়া পশ্চিমপাড়ার আইয়ুব আলীর ছেলে জুয়েল (৩৭)।
নগর পুলিশ জানায়, রাজশাহী জেলার মোহনপুর থানার মাহবুর রহমান নগরীর রাজপাড়া থানার চন্ডিপুরে বসবাস করেন। গত ২৩ মে রাত সাড়ে ১১ টায় তিনি তাঁর স্ত্রীকে সাথে নিয়ে রিকশায় চন্ডিপুরের ফির ছিলেন।
রাজপাড়া থানার বেতিয়াপাড়া এলাকায় পৌঁছালে পিছন থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে অজ্ঞাতনামা দুই ছিনতাইকারী তাঁর স্ত্রী’র হাতে থাকা ভ্যানেটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুতগতিতে পালিয়ে যায়। ব্যাগের মধ্যে একটি মোবাইল ফোন ও নগদ ১৮ হাজার টাকা ছিল।
তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করলে আসামিরা টুলটুলিপাড়া মোড়ে মোটরসাইকেলটি ফেলে পালিয়ে যায়। এ সংক্রান্তে মাহবুর রহমান রাজপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
নগরীর বোয়ালিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বিভূতি ভূষন বানার্জীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে রাজপাড়া থানা পুলিশের একটি টিম ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেন।
রাজপাড়া থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ ও এসআই মাহফুজুল ইসলামের টিম ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি টিভির ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৩১ মে রাতে অভিযান পরিচালনা করে আসামি রবিউল, মিলন ও সম্রাটকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। এসময় আসামি সম্রাটের কাছ থেকে ছিনতাই করা মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হয়।
একই সাথে রাজপাড়া থানা পুলিশের ঐ টিম গত ২৫ মে দিবাগত রাতে রাজপাড়া থানার ডাবতলা মোড়ের একটি দোকান থেকে নগদ টাকা ও মালামাল চুরির ঘটনায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি সাব্বির, হাসিবুল ও জুয়েলকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। চোরাই মালামাল উদ্ধারসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় আসামি সুরুজ ছিনতাই ও চুরির উভয় ঘটনার সঙ্গে জড়িত। আসামি সুরুজের ১৯ মিলনের ৬ ও হাসিবুলের বিরুদ্ধে ৫ টি মামলা দেশের বিভিন্ন থানায় দায়ের আছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে রাজপাড়া থানায় ছিনতাই ও চুরির ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের করে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।