আজ বুধবার ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন। সকাল ৯ টায় শেখ রাসেল মডেল স্কুল কেন্দ্রে ‘এ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসে মায়ের সঙ্গে মাগুরা থেকে আসা মহুয়া। সে তার মোবাইল ফোনটি তার মায়ের কাছে রেখে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে। মহুয়ার মা মেয়ের জন্য পরীক্ষার কেন্দ্রের বাহিরে অপেক্ষা করতে থাকেন। সকাল ১০ টায় পরীক্ষা শেষ হলে হাজারো শিক্ষার্থীর মাঝে গভীর উদ্বেগ নিয়ে মহুয়ার মা মহুয়াকে খুঁজতে থাকেন। সময় গড়িয়ে গেলেও মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও না পেয়ে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আরএমপি’র কন্ট্রোল রুমে হাজির হয়ে মেয়েকে খুঁজে পেতে আকুতি শুরু করেন। এমন পরিস্থিতিতে কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত আরএমপি’র মতিহার বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মধুসূদন রায় তাঁকে সান্ত্বনা দেন এবং মেয়েকে খুঁজে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে এক মহুয়াকে খুঁজে বের করা ছিল পুলিশের কাছে অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার। এছাড়াও পরের পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করতে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সচল রাখতে পুলিশকে বেশ হিমসিম খেতে হচ্ছিল। তারপরেও মহুয়াকে খুঁজে বের করতে তৎপরতা শুরু করে পুলিশ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আরএমপি’র কন্ট্রোল রুমে থেকে বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে মহুয়াকে খুঁজে বের করার জন্য সকল স্টেশনকে জানানো হয়। ডিউটির ফাঁকে মহুয়াকে খুঁজতে থাকে পুলিশ। অবশেষে অনেক খোঁজাখুঁজি করে মহুয়াকে উদ্ধার করে মায়ের কাছে নিয়ে আসে পুলিশ।
মেয়েকে ফিরে পেয়ে মহুয়ার মা বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এত মানুষের মাঝে এত দ্রুত সময়ে মেয়েকে পুলিশ খুঁজে দিবে ভাবতে পারিনি। কিন্তু পুলিশ আমার মেয়েকে খুঁজে বের করে দিয়েছে’। পুলিশের পেশাদারত্বের জন্য তিনি আরএমপি পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।