বৃহস্পতিবার , ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

মায়ের মৃত্যুর খবরে ইতালি থেকে দেশে এসে লাশ হলেন শাহ আলম

Paris
ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪ ৭:১১ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা শাহ আলম (৬২)। থাকেন ইতালি। মায়ের মৃত্যুর খবরে দেশে এসে মাইক্রোবাসে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিলেন। তবে বাড়ি ফিরে শেষবারের মতো মায়ের মুখটি আর দেখা হয়নি শাহ আলমের। তার আগেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন তিনিও। ট্রাকের সঙ্গে তাকে বহনকারী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনি মারা যান।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর শিবপুরে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে শাহ আলমসহ আরও একজন নিহত হন।

নিহত শাহ আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাজাহান মেম্বারের ছেলে। অপরজন তার ছোট বোনজামাই সেলিম মিয়া (৪৫)।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশে আসেন শাহ আলম। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আনতে ছোট বোনজামাই সেলিম ও ভাগনে সাব্বির সকালে একটি নোহা মাইক্রোবাস নিয়ে বিমানবন্দরে যান। সেখান থেকে শাহ আলমকে নিয়ে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফিরছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর শিবপুরের পুকুরপাড় এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে তিনজনই গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী ১০০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে সেলিমের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাহ আলম।

দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাস থেকে বেঁচে যাওয়া নিহতের ভাগনে সাজেদুর রহমান সাব্বির বলেন, ‘বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় আমার নানু মারা যায়। আজ দুপুরে তার জানাজা ছিল। খবর পেয়ে রাতের ফ্লাইটে দেশে আসেন মামা শাহ আলম। তাকে নিয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।’

নিহতের ভাতিজা বায়জিদ বলেন, ‘দাদিকে দেখতে দেশে এসেছিলেন চাচা। কিন্তু দাদিকে শেষবারের মতো আর দেখতে পারলেন না। অতৃপ্ত বাসনা নিয়ে চাচাকে পৃথিবী ছাড়তে হলো।’

সর্বশেষ - জাতীয়