ক্রিকেট মাঠের বাইরে বর্তমানে পুরো ব্যস্ততা বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। ইনজুরির কারণে গত বিশ্বকাপের মাঝপথেই তিনি দল ছেড়ে ভারত থেকে দেশে ফিরেছিলেন। এরপর থেকে আর মাঠে নামা হয়নি তার। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে টাইগাররা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ফরম্যাটের পূর্ণ সিরিজ খেললেও, সাকিবকে পায়নি। যার প্রভাব পড়েছে আইসিসির টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে। ফরম্যাটটিতে তিনি বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে ৬ ধাপ পিছিয়েছেন। তবে বড় সুখবর পেয়েছেন সম্প্রতি অসাধারণ পারফর্ম করা পেসার শরিফুল ইসলাম।
টি-টোয়েন্টির বোলারদের তালিকায় বাংলাদেশি এই পেসার বড় লাফই দিয়েছেন বলা যায়। তিনি ৩২ ধাপ এগিয়ে ৫৫ নম্বরে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে বাংলাদেশ ১-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করেছে। যেখানে বড় কৃতিত্ব শরিফুলের। ২২ বছর বয়সী এই বাঁ-হাতি পেসার তিন ম্যাচে নিয়েছেন ৬ উইকেট। যা তাকে সিরিজসেরার পুরস্কারও এনে দিয়েছে।
শরিফুলের মতো র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে আরেক পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের। তিনি এগিয়েছেন পাঁচ ধাপ। ফলে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে তার অবস্থান সবার ওপরে। টি-টোয়েন্টি বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে ২৮ বছর বয়সী এই পেসারের অবস্থান ২২ নম্বরে। যদিও নিউজিল্যান্ডে তিন ম্যাচে মুস্তাফিজ মাত্র ২ উইকেট পেয়েছেন, তবে ওভারপ্রতি তিনি ৪.৮৮ রান দিয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টি না খেলা সাকিবের জন্য র্যাঙ্কিংয়ে পেছানোটা স্বাভাবিকই বটে। ৬ ধাপ পিছিয়ে তিনি বোলিংয়ে নেমে গেছেন ২৮ নম্বরে। তবে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে তার অবস্থান এখনও দুইয়ে আছে। এছাড়া ক্রমানুসারে এরপর আছেন শেখ মেহেদী (২৯), তাসকিন আহমেদ (৩৩), নাসুম আহমেদ (৩৫) ও হাসান মাহমুদ (৪৩)।
ফরম্যাটটিতে ব্যাটিংয়ে পিছিয়েছেন বাংলাদেশের লিটন দাস। কিউইদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টির পর তিনি ইনজুরিতে ছিটকে গিয়েছিলেন। তবে দুই ধাপ পেছালেও লিটনই আছেন টাইগার ব্যাটসম্যানদের সবার শীর্ষে (২৩)। দুই ধাপ এগিয়ে ৩২ নম্বরে উঠেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এছাড়া আফিফ হোসেন (৬৬) ৬ ধাপ পিছিয়েছেন। সাকিবও ৬ ধাপ পিছিয়ে নেমে গেছেন ৭০-এ। ব্যাটিং-বোলিংয়ে পেছালেও, সাকিব টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডারদের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন।