পেপ গার্দিওলার অধীনে খেলা সম্পর্কে বহু খেলোয়াড়ই বহু মন্তব্য করে গিয়েছেন। খেলোয়াড়দের প্রতি স্পেনিশ কোচের নজরদারি নিয়েও আছে নানা মন্তব্য। ম্যানেজার গার্দিওলা খেলোয়াড়দের সাধারণ জীবন নিয়েও ভীষণ খেয়ালি। জ্যাক গ্রিলিশের বাসায় বড় রকমের চুরির পরেও তাই স্পেনিশ কোচকে শুনতে হলো প্রশ্ন।
এভারটনের সঙ্গে ম্যাচ চলাকালে বড় রকমের চুরির ঘটনা ঘটে দলের নির্ভরযোগ্য উইঙ্গার জ্যাক গ্রিলিশের বাসায়। যে সময় চুরি হচ্ছে, তখন গ্রিলিশ ছিলেন মাঠে। এভারটনের বিপক্ষে ম্যাচে লড়তে হচ্ছিল তাকে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান নিশ্চিত করেছে এই খবর।
পুলিশের এক মুখপাত্র দ্য সানকে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। জানা যায়, বুধবার রাতে এভারটনের বিপক্ষে সিটিজেন্সদের ম্যাচ গ্রিলিশের বাসায় বসে দেখছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। গ্রিলিশের বাগ্দত্তা ছাড়াও সেই সময় বাসায় ছিলেন তার মা–বাবা, দুই বোন এবং ভাই। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং হেলিকপ্টার দিয়ে পুরো এলাকায় অভিযান চালায়। তবে এর আগেই ১ মিলিয়ন পাউন্ডের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি টাকা) স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় অপরাধীরা। চুরির এ ঘটনা নিয়ে বর্তমানে তদন্ত করছে চেশায়ার পুলিশ।
শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে সিটিজেন্সদের ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে কোচ গার্দিওলার কাছে জানতে চাওয়া হলো এই বড় আকারের চুরির ইস্যুতে। তখন গার্দিওলার সহজ জবাব, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার কমাতে হবে। লোকে কম জানলেই বরং নিরাপদ। ‘এখন সাবধান থাকতে হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি থাকা যাবে না। লোকে আপনার ব্যাপারে যত কম জানবে, ততই ভালো। কে কী করছে, কোথায় আছে—লোকে এসব ব্যাপার জানার জন্য অপেক্ষা করে।’
খেলোয়াড়দের সতর্ক করে গার্দিওলার বক্তব্য, ‘ওদের (গ্রিলিশ) নিরাপত্তাব্যবস্থা আছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটার শিকার হলো। এমন ঘটনা অনেকবার ঘটেছে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলোয়াড়েরাও এর শিকার হয়েছেন। আমি লন্ডনের ব্যাপারে তেমন কিছু জানি না, তবে (সেখানে) এটা ঘটেছে। শুধু লন্ডন নয়, কাতালুনিয়া যেখানে আমার পরিবার বসবাস করে, সেখানেও এমন অনেক ঘটনা ঘটে।’
ফুটবলের মাঠে দার্শনিক হিসেবে খ্যাতি আছে গার্দিওলার। জীবনের মাঠেও যে তার চিন্তাভাবনা ব্যাপক তার প্রমাণ দিয়েছেন পরের বক্তব্যেই, ‘মানুষের শ্রেণির মধ্যে বড় পার্থক্য রয়েছে। একদিকে যেমন প্রচুর টাকা-পয়সাওয়ালা মানুষ, অন্যদিকে তেমনি কষ্টে দিন পার করা মানুষও আছে।’