পঞ্চাশ বছরের বিরোধের ইতি টেনে অবশেষে ত্রিপক্ষীয় শান্তি চুক্তিতে সই করেছে ভারতের সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটি। তবে এই শান্তিচুক্তির বিরোধিতা করেছে উলফার পরেশ বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন অংশ। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, আসামের উন্নতিতে অনুপ্রবেশকারী রুখতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। উলফার পক্ষ থেকে ১৯৭১ সালের বদলে আসামে বিদেশি শনাক্তকরণের ভিত্তিবর্ষ ১৯৫১ সাল করার শর্ত রাখা হয়েছিল। শুক্রবার কোন শর্তে শান্তিচুক্তি হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
এ ছাড়াও উলফা নেতৃত্বকে স্থানীয় বাসিন্দাদের জমির অধিকার দেওয়া এবং আসামের উন্নতির জন্য কেন্দ্রীয় অনুদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
শান্তিচুক্তির পর অমিত শাহ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ে উলফার সব যৌক্তিক দাবি মেনে নেবে সরকার।
১৯৭৯ সালে ‘স্বাধীন আসাম রাষ্ট্র’ গঠনের দাবিতে প্রতিষ্ঠিত হয় উলফা। সশস্ত্র কার্যকলাপে জড়িত থাকায় ১৯৯০ সালে কেন্দ্রীয় সরকার সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করে। পরে পুলিশি অভিযানে উলফার বহু সদস্য আত্মসমর্পণ করেন।
কিছু দিন আগে উলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়া জানিয়েছিলেন, শিগগিরই উলফার সঙ্গে শান্তিচুক্তি সম্পন্ন হবে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের। এরপর উলফা ভেঙে দেওয়া হবে।