১. হাইড্রেট থাকুন
বছরের অন্যান্য সময়ের মতো শীতের সময়েও আপনাকে হাইড্রেটেড থাকতে হবে। তবে শীতের সময়ে এদিকে একটু বেশিই নজর রাখতে হবে। সেজন্য পর্যাপ্ত পানি, ফলের রস, হালকা সুপ, মধু সহ উষ্ণ লেবু পানি পান করলে উপকার পাবেন। এতে দিনভার আপনি সতেজ থাকবেন আর ডিহাইড্রেট অনুভব করবেন না। তবে হাইড্রেট থাকার জন্য আবার ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল পান করতে যাবেন না। কারণ এগুলো হাইড্রেট তো করেই না, বরং ডিহাইড্রেশন বাড়িয়ে দেয়। তাই এ ধরনের পানীয় থেকে দূরে থাকুন।
২. গার্গল করুন
হালকা গরম পানি ও লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে দিনে অন্তত দুইবার গার্গল করবেন। এভাবে গার্গল করলে গলাব্যথাএবং সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হয়। গলায় আরাম পাওয়া যায়। সেইসঙ্গে দূর হয় মুখের ভেতরে থাকা অনেক ক্ষতিকর জীবাণুও। তবে ৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে গার্গল করার সময় বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকতে হবে।
৩. জিঙ্ক লজেন্স খান
দ্রুত আপনাকে সর্দি-কাশি থেকে মুক্ত করতে কাজ করতে পারে জিঙ্ক লজেন্স। বিশেষজ্ঞরাও সর্দি-কাশির সমস্যায় এই লজেন্স খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে আপনি যদি অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে জিঙ্ক খাওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। কারণ এই দুইয়ের সংমিশ্রণ ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে। জিঙ্ক লজেন্স খেলে তা আপনার শরীরের আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং বিপাককে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।
৪. নোজাল স্প্রে ব্যবহার করুন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্যাবলেটের চেয়ে নোজাল স্প্রে দ্রুত ও ভালো কাজ করে। কারণ ডিকনজেস্ট্যান্টগুলো প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই অবরুদ্ধ নাকে পৌঁছায়। এই স্প্রে ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে, ব্যথা কমাতে এবং সর্দি-কাশির উপসম করতে কাজ করে। সেইসঙ্গে আপনাকে অবশ্যই পরিষ্কার পানি ব্যবহার করতে হবে, নয়তো সংক্রমণ মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।
৫. বিশ্রাম নিন
ঠান্ডার প্রকোপ থেকে মুক্তি পাওয়া এবং সুস্থ হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। তাই সর্দি-কাশি দেখা দিলে কাজ থেকে বিরতি নিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করুন। এভাবে ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে সুস্থ হতে পারবেন। তবে সমস্যা বেশি মনে হলে বসে না থেকে দ্রুত একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।