নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর পবায় জমি জবর দখল, হামলা, মামলার ও জোপূর্বক আম গাছ কেটে ফেরার অভিযোগে সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর ফায়ার সার্ভিস মোড়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হেতমখাঁ লিচুবাগান এলাকার মো: শামীম উদ্দিন শেখ স্বপন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার পিতা নমির উদ্দিন জীবীত অবস্থায় আমাদের ৩ ভাই মো: সবুর উদ্দিন শেখ ডাব্লু, সের মোহাম্মদ শেখ সিরু ও মো: শামীম উদ্দিন শেখ (স্বপন) বরাবর বায়া মোজা (ভুগরোইলের মোড়, এয়ার পোর্ট থানার পাশে), আর.এস খতিয়ান নং: ৯৬, আর.এস দাগ নম্বর: ১৪০, পরিমাণ: ২.৩৭ একর জমি ১৯৮৯ সালে আমাদের বরাবর দলিল মুলে হস্তান্তর করেন। ইতিমধ্যে উক্ত দলিলের গ্রহিতা আমার ভাই সের মোহাম্মদ সিরু ২০০৮ সালে মারা গেলে তাহার ওয়ারিশ থাকে দুই নাবালক পুত্র মো: শাহারিয়ার শিশির রাব্বি, সিয়াম নুর আরাফাত রাফি ও তাদের মা বিউটি ফারজানা মুক্তি।
এমতবস্থায় উক্ত সম্পত্তি খারিজ করার প্রয়োজন হলে শাহারিয়ার শিশির রাব্বি, সিয়াম নুর আরাফাত রাফির মা বিউটি ফারজানা মুক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে খারিজের বিষয়ে জানালে মুক্তি বলেন, আমি যেহেতু আরেকটি বিয়ে করে অণ্যত্র সংসার করছি সেহেতু আমার দুই সন্তানের নামে উক্ত সম্পত্তির প্রাপ্য অংশ খারিজ করে দেন। ফলে উক্ত দলিল মুলে আমরা ১৮-০৩-২০২০ সালের যৌথ খারিজ করি। এখানে প্রকাশ থাকে যে মায়ের আগে পুত্র মারা যাত্তয়ায় উক্ত পুত্রের ১ এর ৬ ভাগ আইনগত মৃত ব্যাক্তির মা প্রাপ্ত হওয়ায় মেহেরুন নেসা এর নাম উক্ত খারিজে অন্তভুক্ত হয়। উক্ত সম্পত্তি খারিজ অন্তে অনান্য ভাই, মা এবং নাবালকদের সঙ্গে যৌথভাবে ভোগ দখল করা কালে আমি উক্ত সম্পত্তির উপর আমগাছ সহ অনান্য গাছ রোপন করি। গাছ বড় হয়ে ফল ধরলে যৌথভাবে ভোগদখল করি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আমাদের নত্তদাপাড়ায় আরেকটি জায়গায় নাবালক রাফির অংশের উপর একটি একতালা বাড়ি নির্মান করা হয়। রাফির মা বিউটি ফারজানা মুক্তি অন্যত্র স্বামীর সংসার ত্যাগ করে নির্মানাধীন উক্ত বাড়িতে কিছুদিন আগে বড় ছেলে রাব্বিকে নিয়ে বসবাস করতে চেলে আমরা বসবাসের অনুমতি প্রদান করি। কিছুদিন পর দাওয়াত খাওয়ার নাম করে আমার বাড়ি থেকে ছোট ছেলে রাফিকে নিয়ে যায়। তারপর থেকে রাফিকে সেখানেই রেখে দেয় এবং আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেয়না। সে কারণে যেহুতু তারা সংসার আলাদা করার কারণে শহরের জমিগুলো নাবালকসহ অন্যান্য ওয়ারিশদের মধ্যে বন্টননামা করে দেয়া হয়।
অবশিষ্ট্য বায়া মৌজার সম্পত্তিটি সদর সাব রেজিস্টারের আওতাধীন না থাকায় পবা রেজিষ্ট্রারের এলাকাধীন হত্তয়ায় উক্ত সম্পত্তিটি পবা রেজিষ্ট্রি অফিসে বন্টননামা করে নেয়ার জন্য রাব্বি ও রাফির মাকে জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, রাফির বাড়ি যে স্থানে সেস্থানে আমার বড় বোনের বাড়ি হত্তয়ায় আমার বড় বোন রিনা রাব্বি ও রাফির মাদেরকে উসকানিমূলক কথা বলায় তারা বন্টননামা করতে না এসে তারা জোরপুর্বক আমার বোনের ছেলে ও রাব্বি উক্ত সম্পত্তি জোরপুর্বক দখলে যাত্তয়ার চেষ্টা করে। এ বিষয় নিয়ে এয়ারপোর্ট থানায় একাধিকবার বসা হলেও কোন সমাধান না হত্তয়ায় আমি পবা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ২৬৩/২০২৩ অঃ প্রঃ মোকদ্দমা দায়ের করি। যা বর্তমানে চলমানধীন আছে। এমতবস্থায় গত ০৬-১২-২০২৩ ইং তারিখে মো: জয়নাল আবেদিন জয়নাল, পিতা: মৃত: জফির উদ্দিন, সাং: ভুগরোইল, থানা: শাহমখদুম, তার লালিত-পালিত সন্ত্রাসীবাহীনী নিয়ে জোরপুর্বক আমাদের উক্ত আমবাগান হতে ৮টি বড় আম গাছ সহ কিছু বাঁশ কেটে ফেলে। আমি ও আমার ভাই সবুর উদ্দিন তাদেরকে বাঁধা প্রদান করলে তাদের সন্ত্রাসী লোকজন আমাদের উপর হামলা চালায়। এসময় আমাদেরকে এলোপাথারি কিল ঘুষি মারলে আমাদের আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন আমাদের উদ্ধার করে। আমরা বাড়িতে ফিরে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে এয়ারপোর্ট থানায় স্মরনাপন্ন হলে এয়ারপোর্ট থানাটি অভিযুুক্ত জয়নালের ভাইয়ের বাড়ি হত্তয়ায় খানায় কর্মরত কর্মকর্তা মামলা নিতে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অস্বীকার করে। পরে এ ব্যাপারে আদালতে মামলা দায়ের করি ও আপনাদের মাধ্যমে সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি। উল্লেখ্য অভিযুক্ত জয়নালের বিরুদ্ধে চাকুরী দেয়ার নামে টাকা নেয়া, জমি-জমা দখলসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বপনের ভাই মো: সবুর উদ্দিন শেখ ডাব্লু।
এ ব্যাপারে জয়নাল আবেদিন জয়নালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সের মোহাম্মদ শেখ সিরু অংশ তার সন্তানদের কাছ থেকে জমি কিনেছি। কত পরিমান জমি কিনেছেন এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন ওদের মোট সম্পত্তিবর ৩ ভাগের এক ভাগ কিনেছি। আপনি কতটুকু সম্পত্ত্বি কিনেছেন এর পরিমান আপনার জানা নাই, ভাগ করে বের করতে হবে কেন জিজ্ঞাস করলে তিনি বলেন- মনে হয় ৫৬ শতক জমি কিনেছি। জমি ত্তয়ারিশদের মধ্যে বাটোয়ারা না হত্তয়ার পরেত্ত কিভাবে কিনলেন জিজ্ঞাস করলে তিনি বলেন আমার কাছে সোলেনামা আছে, এয়ার পোর্ট থানায় বসে
মিমাংশা হয়েছে সেগুলোর সব কপি আছে। আর গাছ স্বপনরাই কেটেছে, আমি লোক ঠিক করে দিয়েছি মাত্র। এরপর তিনি এ প্রতিবেদককে তার চেম্বারে চা খাত্তয়ার দাত্তয়াত দেন। চা খেতে অস্বীকার করলে তিনি এ প্রতিবেদকে দেখে নেয়ার হুমকিদেন ত্ত বলেণ তুমি কতবড় সাংবাদিক আমি দেখে নেবো ত্ত অকথ্য ভাষায় কথা বলেন।