টানা দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। মাঝে সপ্তাহখানেকের বিরতি চললেও হামলা ফের শুরু হয়েছে। বর্বর এই আগ্রাসনে নিহত হয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
একইসঙ্গে গাজায় আক্রমণ পুনরায় শুরু করার জন্য দুঃখ প্রকাশও করেছেন তিনি। শনিবার (২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
এমনকি গাজায় যুদ্ধের আইন মেনে চলাকে ইসরায়েলের জন্য ‘শুধু নৈতিক বাধ্যবাধকতাই নয় বরং এটিকে আইনি বাধ্যবাধকতা’ হিসাবেও বর্ণনা করেছেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জোসেপ বোরেল বলেছেন, ‘ইসরায়েল যেভাবে আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করছে তা দেখার বিষয়। (গাজায় আগ্রাসনের সময়) আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং যুদ্ধের আইন মেনে চলাটা ইসরায়েলের জন্য অপরিহার্য।’
এক সপ্তাহব্যাপী মানবিক বিরতির সমাপ্তি ঘোষণা করার পর গত শুক্রবার সকালে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় পুনরায় আক্রমণ শুরু করে। এরপর শনিবার জোসেপ বোরেল এই মন্তব্য করলেন। এমনকি গাজায় পুনরায় আক্রমণ শুরু হওয়ায় বোরেল দুঃখও প্রকাশ করেছেন।
বিপুল সংখ্যক বেসামরিক মানুষের প্রাণহানির মধ্যেই ফের শুরু হওয়া এই আগ্রাসন বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়াবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান করার জন্য ইসরায়েলের প্রতি নিজের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি জোর দিয়ে বলেন, এটি ‘শুধু নৈতিক বাধ্যবাধকতাই নয়, এটি আইনি বাধ্যবাধকতাও।’
এসময় তিনি অধিকৃত পশ্চিম তীরে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার কথাও উল্লেখ করেন। জাতিসংঘের পরিসংখ্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে বোরেল বলেন, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলিদের হাতে সেখানে ২৭১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এখন সমস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ব্যাপক রাজনৈতিক সমাধানের জন্য কাজ করার সময় চলছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের সাথে এক সপ্তাহের মানবিক বিরতির পর গত শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় আবার বোমাবর্ষণ শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৭৮ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৫৮৯ জন আহত হয়েছেন।
এর আগে হামাসের আন্তঃসীমান্ত আক্রমণের পর গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ১৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।