জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গেই আছি। কী হবে তা এখনো কেউ জানে না, যদি নির্বাচন হয় তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা ঘোষণা না দিয়ে চলে যাব ততক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে আছি। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। নির্বাচন যদি সঠিকভাবে হয় তবেই আমরা নির্বাচনে অংশ নেব। যদি আমরা মনে করি সঠিকভাবে নির্বাচন হচ্ছে না তখন আমরা ঘোষণা দিয়েই নির্বাচন বর্জন করব।
শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে নিজের লেখা “বাংলাদেশে গণতন্ত্র সোনার পাথরবাটি” দ্বিতীয় খণ্ড ও “MISERIES OF MISCONCEIVED DEMOCRACY Volume-2 বই দুটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, ঘোষণাটা আমাদের তরফ থেকেই আসতে হবে। দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গেই আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। নির্বাচন নিয়ে কোনো একক সিদ্ধান্ত হবে না, প্রকাশ্যে ঘোষণা দেওয়া হবে। গণমাধ্যমের সামনে ঘোষণা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, যেসব দেশে একনায়কতন্ত্র থাকে সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, স্থিতিশীল সরকার থাকলে অনেক উন্নয়ন হয়। এক সরকার বেশি দিন থাকলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা ঢেকে রাখতে পারে না। সরকার বা সরকার প্রধান পরিবর্তন হলেও সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে যদি অস্থিরতা সৃষ্টি না হয় তাকেই স্থিতিশীলতা বলা যায়। স্বৈরশাসনে কখনোই স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়। একটি সরকার বেশি দিন থাকাও অস্বাভাবিক ব্যাপার। একটি সরকার বেশি দিন থাকলে অস্থিতিশীলতার বীজ বড় হতেই থাকে। সরকার পরিবর্তন হলে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়, এসব কারণেই বিদেশি বিনিয়োগ আসে না। স্বাভাবিক নিয়মে সরকার পরিবর্তন হবে কিন্তু সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোন প্রভাব পড়বে না, এটাই হচ্ছে স্থিতিশীলতা।
জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সভাপতি শেরীফা কাদেরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আহমেদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু , জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোকাম্মেল এইচ ভূঁইয়া প্রমুখ।