সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার এই আগুন বোমা নিক্ষেপকারী অপরাধীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনবে।’
শুক্রবার জয় তার ফেসবুকে লেখা স্ট্যাটাসে একথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘যখনই কেউ বেসামরিক নাগরিকদের উপরে হামলা চালায়, তখন সে সংগঠন রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে দাবি করার অধিকার হারায়-উভয়েই সন্ত্রাসী সংগঠন।’
কানাডিয়ান আদালতের রায় নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আপনারা সবাই জানেন যে কানাডার একটি আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে অভিহিত করেছে। ২০১৩-২০১৫ সালে বিএনপির আগুনবোমা সন্ত্রাসের সময় হাসপাতালের একটি বার্ন ইউনিট দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের দেখে আমি আঁতকে উঠেছি। এই ভয়াবহ দৃশ্য ছিলো অকল্পনীয়। এই আগুনবোমা রাজনীতি হতে পারে না; এটা ছিল স্পষ্টই সন্ত্রাসবাদ।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘অতীতে রাজনৈতিক সহিংসতায় আমাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখেছি। সেটা পুলিশ কিংবা সরকারী দলের কর্মীদের সাথে আমাদের কর্মীদের প্রতিরোধের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র জামায়াত-বিএনপি এই দুই দলই বেসামরিক জনগণকে লক্ষ করে সন্ত্রাস করলো।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমটি হল জামায়াত-ই-ইসলাম, এদের সাথে ছিল আল-বদর, আল-শামস, ইত্যাদি বেসামরিক সেনাবাহিনী, যারা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বেসামরিক নাগরিকদের নির্যাতন এবং হত্যা করেছিল। দ্বিতীয়টি হল বিএনপি, যারা বিগত নির্বাচনের সময় বাস, ট্রেন ও গাড়িতে আগুন বোমা নিক্ষেপ করেছিল। এখানে কোন সন্দেহই নেই যে, বিএনপি ও জামায়াত একে অপরের সঙ্গী।
স্ট্যাটাসে জয় আরও লিখেছেন, ‘যেভাবে আমরা ৪০ বছর পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় এনেছি, আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার এই আগুন বোমা নিক্ষেপকারী অপরাধীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনবে। যেসব বিএনপি কর্মী ও নেতারা এসব আক্রমণ করেছে; যারা এতে অর্থ বিনিয়োগ করেছে এবং যারা এসব হামলা অনুমোদন দিয়েছে সবাইকে যতদিনই লাগুক না কেন শাস্তি তাদের পেতেই হবে।’
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন