বৃহস্পতিবার , ১১ মে ২০২৩ | ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ঘূর্ণিঝড় মোখা : ভোলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম

Paris
মে ১১, ২০২৩ ৫:২৫ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটি নিউজ  ডেস্ক:

ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় ভোলায় আটটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। এতে আশ্রয় নিতে পারবে প্রায় পাঁচ লাখ ৬৩ হাজার মানুষ। এ ছাড়াও প্রস্তুত রয়েছে ১৩ হাজার ৬০০ সিপিপি ও পাঁচ হাজার রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক। সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া প্রায় ৯০ শতাংশ জেলে ইতিমধ্যে তীরে ফিরে এসেছেন এবং বাকি জেলেদের ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে মৎস্য বিভাগ, কোস্ট গার্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলনকক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী।

তিনি আরো জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় ইতিমধ্যে তিন স্তরের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ-পূর্ববর্তী, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ-পরবর্তী―এই তিনটি ধাপে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। জেলায় আবাদ হওয়া বোরো ধান ইতিমধ্যে ৯০ শতাংশ কাটা হয়ে গেছে। বাকি ধানগুলোও দুই দিনের মধ্যে কাটা শেষ হবে। জেলায় ৯২টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বে ভোলার বিচ্ছিন্ন চারঞ্চলগুলোর বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে মূল ভূখণ্ডে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিজ নিজ কর্মস্থল ত্যাগ না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি সর্বনিম্ন রাখতে সকলের সহযোগিত কামনা করেন তিনি।

সভায় বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম, কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের অপারেশন অফিসার মেহেদী হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান জানান, ভোলায় জেলায় মোট পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৩৪ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রয়েছে। এ বাঁধগুলো মোটামুটি ভালো অবস্থানে রয়েছে। তবে মনপুরায় কিছু এলাকায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত ছিল, সেগুলোও মেরামত করা হয়েছে। এর পরও যদি কোথাও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয় সে ক্ষেত্রে জরুরি মেরামতের জন্য পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ, জিও ফিল্টার ও জিও টিউব প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. হাসান ওয়ারিসুল কবির জানান, ইতিমধ্যে কৃষকরা জমি থেকে ৯০ শতাংশ বোরো ধান কেটে ঘরে তুলেছেন। বাকি ১০ শতাংশও আগামী দুই দিনের মধ্যে কাটা শেষ হয়ে যাবে। এ ছাড়াও মুগডাল, বাদাম, মিষ্টি আলুসহ এ মৌসুমের রবিশস্য কৃষকরা ঘরে তুলে নিয়েছেন।সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - অন্যান্য