২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে এখনও সমান জনপ্রিয়তা আছে এই ‘ক্যাপ্টেন কুলে’র। ব্যাটার, উইকেটরক্ষক কিংবা অধিনায়ক ধোনি তিন জায়গাতেই সমান পারদর্শী। তবে এই ক্যারিশমাটিক ক্রিকেটারের অধিনায়কত্ব নিয়ে বলেতে গেলে শেষ হবে না। তিনি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, এশিয়া কাপ আর শীর্ষ টেস্ট দলের স্বীকৃতি; মাত্র ৭ বছরের ব্যবধানে ভারতকে সম্ভাব্য সব বড় শিরোপা এনে দিয়েছেন।
ধোনির অধিনায়কত্ব গুণ এত প্রবল যে তিনি কঠিন মুহূর্তে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। জাতীয় দলের জার্সি তোলার তিন বছর হতে চললেও তিনি খেলে যাচ্ছেন দেশটির জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর আইপিএলে। টুর্নামেন্টটির শুরু থেকেই তিনি আছেন চেন্নাই সুপার কিংসে। তার নেতৃত্বে দলটি টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ চারটি শিরোপা অর্জন করেছে।
সম্প্রতি আইপিএলের ৫ হাজার রানের ক্লাবে প্রবেশ করেছেন ধোনি। ষষ্ঠ ভারতীয় হিসেবে তিনি এই কীর্তি গড়েন। ২৩৬তম ম্যাচে ৩ বলে পরপর দুটি ছয় মেরে ওই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। এদিন ধোনি যখন মাঠে নামেন তাকে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানান দর্শকরা। এরপর একটা ছয় মারতেই তাদের মোবাইলের সব লাইট জ্বলে ওঠে।
তবে অধিনায়কত্ব নিয়ে ফের আলোচনায় এসেছেন এই ক্যারিশমাটিক ক্রিকেটার। ব্যাটিংয়ের চেয়ে ধোনির অধিনায়কত্বকে এগিয়ে রেখেছেন তার জাতীয় দলের সতীর্থ রবিন উথাপ্পা। দেশটির এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উথাপ্পা বলছেন, ‘একবার চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ব্যাট করছিলাম। সে সময় হ্যাজলউডের বোলিংয়ে ফাইন লেগে ফিল্ডার রাখেনি ধোনি। ফলে আমি বুঝলাম সে অফস্টাম্পের বাইরে বল দেবে। কিন্তু আমি ডিপ পয়েন্টের ওপর দিয়ে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে আউট হয়ে গেলাম।’
ধোনির এই চমকপ্রদ সিদ্ধান্তে বিরক্ত হয়ে পড়েন উথাপ্পা। তার মতে, ‘ধোনি আসলে ব্যাটারদের মানসিকতা নিয়ে খেলে। যেখানে ব্যাটাররা খেলতে অভ্যস্ত নয়, ও বাধ্য করবে মাঠের সেই দিকগুলোতে শট খেলতে। ধোনি প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের শক্তিমত্তা ও দুর্বলতাগুলো খুব ভালো বোঝেন।’
তবে উথাপ্পা ও ধোনির মধ্যে বেশ ভালো সম্পর্ক। লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে চেন্নাই ঘরের মাঠে খেলতে নেমেছিল। সেই ম্যাচে ধোনির সঙ্গে দেখা করতে হাজির হন উথাপ্পা। পরবর্তীতে দুজনের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।