বাঘা প্রতিনিধি :
রাজশাহীর বাঘায় ঈশা খাতুনের লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে আজ শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারী) বেলা সাড়ে ৩টায় আড়ানী রেলস্টেশন সংলগ্ন নুরনগর সামাজিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
জানা যায়, নিখোঁজের ৮ দিন পর বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আড়ানী স্টেশন এলাকার ইক্ষুক্রয় কেন্দ্রের পেছনে গম খেত থেকে ঈশা খাতুনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে সামাজিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। শিশু ঈশা খাতুন (৫) উপজেলার আড়ানী পৌর এলাকার আড়ানী রেলস্টেশন সংলগ্ন নুরনগর গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে।
এ বিষয়ে বেড়েরবাড়ি কটার মোড়ের শামিম হোসেন বলেন, আমি ও আমার মামা আমিরুল ইসলাম জমি লিজ নিয়ে যৌথভাবে আড়ানী ইক্ষুক্রয় কেন্দ্রের পেছনে পেঁয়াজের আবাদ করেছি। বৃহস্পতিবার বিকালে পেঁয়াজ খেত দেখতে যায়। এ সময় পাশে গম খেতের মধ্যে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পায়। পরে বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে পরিবারের লোকজনসহ সেখানে গিয়ে ঈশার লাশ চিহৃত করা হয়।
২ ফেব্রুয়ারী রাত ৮টার দিকে আড়ানী রেলস্টেশন সংলগ্ন বাড়ির পাশে রাস্তার ধারে মা চম্পা বেগমের পিঠা বিক্রি করেন। ঈশা মায়ের পিঠার দোকানে যায়। পরে সে আর ফিরে আসেনি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে না পেয়ে তার বাবা ইউসুফ আলী বাদি হয়ে ৩ ফেব্রুয়ারী সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন। খোঁজ না পাওয়ায় ৫ ফেব্রুয়ারী অপহরণ মামলা করেন। এই অপহরণ মামলার সাথে ৯ ফেব্রুয়ারী ৩০২ ধারা যুক্ত করে হত্যা মামলা হয়েছে।
ঈশার চাচা রুবেল বলেন, আড়ানী ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্রের পাশে গম খেতে লাশ পড়ে আছে, এমন খবর জানতে পারি। পরে সেখানে গিয়ে দেখি তার মুখ মন্ডল কালো। তার গায়ের রং ও পোশাক দেখে তাকে চিহিৃত করা হয়েছে। আমরা খুব গরিব মানুষ। কারো সাথে কোন সত্রুতা নেই। তবে নিখোঁজের সময় ভাতিজার কানে স্বর্ণের দুল ছিল।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন হত্যার মূল কারণ হিসেবে বলেন, শিশু ঈশার কানে স্বর্ণের দুল ছিল। স্বর্ণের দুলের জন্য তাকে অপহরণ করা হয়। পরে তাকে হত্যা করে গম খেতে ফেলে রাখা হয়। তবে মূল রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই এলাকার ২/১ জনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। খুব শীর্ঘই এই হত্যার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের ময়না তদন্ত শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন হয়েছে।