মঙ্গলবার , ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ | ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

৪০ বছরের পুরনো গোলাবারুদ ব্যবহার করছে রাশিয়া

Paris
ডিসেম্বর ১৩, ২০২২ ৮:৩৪ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

রাশিয়া এখন বাধ্য হয়ে কয়েক দশকের পুরোনো গোলাবারুদ ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে। এমনটাই জানিয়েছে এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তর বরাত দিয়ে স্থানীয় সময় সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। ইউক্রেনে আগ্রাসন চলছে ১০ বছর ধরে।

দীর্ঘ সময় ধরে একনাগাড়ে এই যুদ্ধ চলায় রুশ গোলাবারুদের মজুত কমতে শুরু করেছে। তাই বাধ্য হয়েই এই পথে যাচ্ছে রাশিয়া।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়া পুরোনো দিনের গোলাবারুদ ব্যবহার করছে। যা এটাই ইঙ্গিত দেয়, তারা পুরোনো গোলাবারুদ ব্যবহার করতে ইচ্ছুক। এসব গোলাবারুদের মধ্যে কিছু আছে ৪০ বছরের বেশি আগে তৈরি করা।

ঊর্ধ্বতন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়া যদি বিদেশি সরবরাহকারী এবং পুরোনো মজুতের আশ্রয় না নেয় তবে ২০২৩ সালের প্রথম দিকে গোলাবারুদের মজুত সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়ে যাবে। মার্কিন ওই সামরিক কর্মকর্তা আরো জানান, ‘আমাদের মূল্যায়ন হচ্ছে, রাশিয়া যেভাবে কামান এবং রকেট গোলাবারুদ ব্যবহার করছে এতে সম্ভবত ২০২৩ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত এটা চালিয়ে যেতে পারে। ’

এদিকে ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য ইরান রাশিয়ার কাছে ড্রোন সরবরাহ করেছে বলে মার্কিন ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন। জাতিসংঘে নিযুক্ত ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত গত শুক্রবার বলেছেন, মস্কো ইরানের কাছ থেকে শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাওয়ার চেষ্টা করছে এবং বিনিময়ে তেহরানকে সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে।

রাশিয়া নিজেদের গোলাবারুদের নিয়মিত সরবরাহ শেষ করে ফেলায় এই ধরনের সাসরিক সরঞ্জামের জন্য দেশটি ইরান ও উত্তর কোরিয়ার দিকে ঝুঁকছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে ইরান গত মাসে মস্কোকে ড্রোন সরবরাহের কথা স্বীকার করে। কিন্তু তেহরান দাবি করেছে এসব ড্রোন ইউক্রেনে যুদ্ধের আগে পাঠানো হয়েছিল। রুশ বাহিনী ইউক্রেনে হামলার জন্য ইরানের ড্রোন ব্যবহার করছে এমন অভিযোগও রাশিয়া অস্বীকার করেছে । ওদিকে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ অস্বীকার করেছে মস্কো।

সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক