সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
যেসব কারণে বাংলাদেশে তরুণরা চরমপন্থার দিকে ঝুঁকতে পারে তা খুঁজে বের করতে সরকারকে একটি জাতীয় গবেষণা দল গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন একজন মনস্তত্ত্ববিদ।
“তারপর এ সমস্যা আমরা আরও ভালোভাবে প্রতিরোধ করতে পারব,” বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ড. মেখলা সরকার।
উগ্রবাদী সহিংসতায় তরুণদের ঝোঁকার পিছনে মনস্তাত্ত্বিক কারণ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক সেমিনারে আলোচনার পর একথা বলেন তিনি।
মেখলা বলেন, সাম্প্রতিক হামলায় জড়িতদের অনেকে উচ্চবিত্ত পরিবার থেকে এলেও মূলত কী কারণে তারা চরমপন্থার দিকে গেছে তা নিয়ে এই মুহূর্তে বলার মতো কোনো গবেষণা নেই।
তবে নিহত, নিখোঁজ ও গ্রেপ্তার তরুণদের বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে জঙ্গিবাদে ঝোঁকার পিছনে ‘সাধারণ কারণ’ খুঁজে বের করা যায় বলে মনে করেন মনঃচিকিৎসার এই সহকারী অধ্যাপক।
জঙ্গিবাদে যোগ দেওয়া নিয়ে দোলাচলে আছে-এমন কেউ থাকলে তাকে ‘তাৎক্ষণিক সহায়তা’ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি একটি ‘কল সেন্টার’ করার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক উগ্রবাদী সহিংসতার প্রেক্ষাপটে এই সঙ্কট মোকাবেলায় সম্ভাব্য করণীয় নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্ট্যাডিজ (বিআইআইএসএস) এই সেমিনারের আয়োজন করে।
কূটনীতিক ছাড়াও পুলিশসহ সরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা এতে অংশ নিয়ে গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার প্রেক্ষাপটে সহিংস চরমপন্থার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, সাম্প্রতিক হামলায় এটা পরিস্কার যে, কোনো একটি গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থে দেশকে অস্থিতিশীল ও উন্নয়নের ধারাকে বন্ধ করতে চাইছে।
“তারা আমাদের জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করতে চায়। এছাড়া তারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের পাশাপাশি দেশে-বিদেশে সরকারের মর্যাদাহানি করতে চায়।”
সূত্র: বিডি নিউজ