সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ
রাজধানীর নিউমার্কেটে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে কাজ করছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শনাক্তকারীদের টার্গেট করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ইন্ধনদাতা থাকলে তাদেরও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। জড়িতদের বিষয়ে নিশ্চিত হতে অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
নিউমার্কেটে সংঘর্ষে কুরিয়ার কর্মী নাহিদ ও দোকানকর্মী মোরসালিস নিহতের ঘটনায় দুটি হত্যা মামলাসহ প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনকে আসামি করে চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে নিউমার্কেট থানা ছাড়াও ডিএমপির নিজস্ব গোয়েন্দা ইউনিট, মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) ও একাধিক সাইবার টিম কাজ করছে।
রবিবার বিকেলে ডিবি ও র্যাবের গোয়েন্দা দল ঢাকা কলেজের একটি ছাত্রাবাসে অভিযান চালায়। এ সময় কলেজের আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাসের ১০১ নম্বর কক্ষে অভিযান চালিয়ে জহির হাসান জুয়েলকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দিয়েছে ডিবি। জুয়েল কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, সংঘর্ষে নাহিদ নিহত হওয়ার ঘটনায় সম্পৃক্ত হিসেবে শনাক্ত ইমন এই ১০১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তবে অভিযানের সময় ইমন সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
ডিবি রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক জানান, রবিবার বিকেলের অভিযানে এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছিল, পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে রাজধানীর নিউমার্কেটের একটি খাবারের দোকানের কর্মীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে গভীর রাতে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকানকর্মীরা। এরপর দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে বুধবার পর্যন্ত।
সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত নাহিদ (১৮) ও মোরসালিন (২৬) নামে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় ১৫ জন সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন