সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে ধস দেখা দিয়েছে। সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি লেনদেনের মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে শতাধিক প্রতিষ্ঠানের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়েছে।
গত কয়েকদিনের টানা দরপতনে আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা এ দিন লেনদেন শুরু থেকেই কম দামে শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়াতে থাকেন। ফলে লেনদেন শুরু হতেই মূল্যসূচকের বড় পতন হয়। প্রথম ১৬ মিনিটে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ ৭৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। আর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৫২ পয়েন্টে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনের শুরুতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। সেইসঙ্গে সূচকের বড় পতন হয়েছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরুতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ২০ পয়েন্ট কমে যায়।
লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে পতনের মাত্রা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ১৮ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের তুলনায় ৫৪ পয়েন্টে কমেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ২০ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১১ পয়েন্ট কমেছে।
এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ৪৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৫০টির। আর ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৩৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
দাম কমার তালিকায় স্থান করে নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দিনের সর্বনিম্ন দামে নেমে গেছে। এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা এ সর্বনিম্ন দামে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট বিক্রির আগ্রহ দেখালেও ক্রেতার ঘর শূন্য হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯৭ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৮ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৯০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৯টির, কমেছে ৭২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টির।
সূত্রঃ জাগো নিউজ