টিকার কার্যকারিতা অনুমান করা হয়েছে টিকা নেওয়া এবং না নেওয়া রোগীদের করোনায় আক্রান্তের হারের তুলনা করে। এ ছাড়া পরিসংখ্যানগত পদ্ধতি ব্যবহার করে সাপ্তাহিক সংক্রমণ, ভৌগোলিক এলাকা, বয়সের সঙ্গে সামঞ্জস্য, স্থানীয় সংক্রমণের মাত্রা ও রোগীর বৈশিষ্ট্য যেমন আগে থেকে অসুস্থতার বিষয়টি দেখা হয়।
সিডিসি যে সময়কালে গবেষণাটি করেছে তখন বিশ্বজুড়ে করোনার অমিক্রন ধরনের আধিপত্য চলেছে। গবেষণার সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগ বা ক্লিনিকে জরুরি সেবাদানকেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায়, বুস্টার ডোজ নেওয়ার দুই মাস পর টিকার কার্যকারিতা ছিল ৮৭ শতাংশ, কিন্তু চতুর্থ মাসে গিয়ে সেটা দাঁড়ায় ৬৬ শতাংশে।
বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ক্ষেত্রে প্রথম দুই মাসে টিকার কার্যকারিতা ছিল ৯১ শতাংশ, কিন্তু চতুর্থ মাসে গিয়ে তা কমে দাঁড়ায় ৭৮ শতাংশে।
গবেষকেরা উপসংহার টেনেছেন, এমআরএনএ প্রযুক্তিতে তৈরি টিকার প্রদত্ত সুরক্ষা তৃতীয় ডোজ (বুস্টার) প্রাপ্তির কয়েক মাস পরই হ্রাস পাচ্ছে বলে গবেষণায় দেখা যাচ্ছে। এমন তথ্য করোনা বিরুদ্ধে সুরক্ষা বজায় বা উন্নত করতে হলে টিকার আরও ডোজ নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার গুরুত্বকে তুলে ধরেছে।
এদিকে গত বুধবার হোয়াইট হাউসে কোভিড নিয়ে ব্রিফ করার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শীর্ষ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অ্যান্থনি ফাউসিও বলেন, যেসব মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম অথবা দুর্বল, বিশেষ করে, প্রবীণদের ক্ষেত্রে সম্ভবত করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ নিতে হবে।