বুধবার , ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ফ্রি ফায়ার নিয়ে হাইকোর্টে সিঙ্গাপুরের গারেনা

Paris
ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২ ৭:০৯ অপরাহ্ণ

ফ্রি ফায়ার বন্ধের পর এ বিষয়ে আইনি লড়াই করতে গেমসটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরের গারেনা অনলাইন প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদন গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ২৬ অক্টোবর আমাদের প্রথম আবেদন খারিজ করেছেন। আজ (বুধবার) দ্বিতীয় আবেদনটি গ্রহণ করেছেন।

এর আগে এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট দেশের বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে থাকা পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকারক সব গেম অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এরপর ২৫ আগস্ট এসব গেমস বন্ধের খবর আসে। এর মধ্যে এ বিষয়ে আইনি লড়াই করতে উচ্চ আদালতে পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদন করেছে গেমসটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।

২০২১ সালের ২৪ জুন মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে এ রিট করা হয়।  রিটের বিবাদীরা হচ্ছেন- ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টরা।

আবেদনকারী আইনজীবী হুমায়ন কবিরের মতে, পাবজি এবং ফ্রি ফায়ারের মতো গেমসগুলোতে দেশের যুবসমাজ এবং শিশু-কিশোররা ব্যাপকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে। যার ফলে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি বিনষ্ট হচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়ে পড়েছে মেধাহীন। এসব গেম যেন যুবসমাজকে সহিংসতা প্রশিক্ষণ দেওয়ার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে।

অন্যদিকে টিকটক, লাইকি অ্যাপগুলো ব্যবহার করে দেশের শিশু-কিশোর এবং যুবসমাজ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে এবং সারা দেশে কিশোর গ্যাং কালচার তৈরি হচ্ছে। টিকটক অনুসারীরা বিভিন্ন গোপনীয় জায়গায় পুল পার্টির নামে অনৈতিক বিনোদন ও যৌন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। এ ছাড়া সম্প্রতি নারী পাচারের ঘটনা এবং বাংলাদেশ থেকে দেশের বাইরে অর্থপাচারও টিকটক, লাইকি এবং বিগো লাইভের মাধ্যমে চলছে- যেটা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক এবং দেশ ও জনস্বার্থ পরিপন্থী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও মূল্যবোধ পরিপন্থী।

 

সূত্রঃ যুগান্তর

সর্বশেষ - জাতীয়