শুক্রবার , ১ অক্টোবর ২০২১ | ৩রা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

মমতার মন্ত্রিত্বের ভাগ্য জানা যাবে রোববার

Paris
অক্টোবর ১, ২০২১ ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ

নির্বিঘ্নে শেষ হলো পশ্চিমবঙ্গের তিন আসনের উপনির্বাচন। মুখ্যমন্ত্রিত্ব ধরে রাখতে এই নির্বাচনে জেতার বিকল্প নেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জীর। এ কারণে তার আসন ভবানীপুরের দিকেই নজর সবার। কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সেখানেও ভোটগ্রহণ হয়েছে অবাধে। এখন অপেক্ষা ভোটগণনা ও ফল ঘোষণার। আর তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে রোববার (৩ অক্টোবর) পর্যন্ত।

হিন্দুস্তান টাইমসের খবর বলছে, রাজ্যের তিন আসনে উপনির্বাচন নির্বিঘ্নে হলেও ভবানীপুরে ভোটার উপস্থিতি হতাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। শমসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পড়লেও ভবানীপুরে এর হার ৬০ শতাংশ পেরোবে কিনা সন্দেহ।

এদিন বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা বাদে সব আসনেই নির্বাচন হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে। ভবানীপুরে ভুয়া ভোটারের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে দলটির নেতা কল্যাণ চৌবের। তবে তৃণমূলের দাবি, ভোটে কোনো কারচুপি হয়নি। মমতা বিপুল ভোটেই জিতবেন।

jagonews24

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তার (সিইও) কার্যালয়ও দাবি করেছে, বৃহস্পতিবার যেসব অভিযোগ এসেছে, তা মোটেও গুরুতর নয়।

সিইও কার্যালয়ের সূত্রে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, এদিন নির্বাচন কমিশনে মোট অভিযোগ জমা পড়েছে ২০টি। তার মধ্যে ভবানীপুর থেকে গেছে ১২টি, শমসেরগঞ্জ থেকে আটটি। জঙ্গিপুর থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

সিইও কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, দিল্লির নির্বাচন অফিসে গুরুতর কোনো অভিযোগের তথ্য পাঠাতে হয়নি, সেটিই স্বস্তির।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলো কড়া নজরদারিতে রেখেছিল সিইও কার্যালয়ে। ভবানীপুরের সব কেন্দ্রেই ওয়েবকাস্টের (অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচার/নজরদারি) ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। সেখানে সব বুথে সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি মাইক্রো-অবজার্ভারও ছিলেন।

গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জী। ভোটের দিন সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি হয়। এমনকি ভোট-প্রক্রিয়া নিয়েও অভিযোগ তোলে শাসক দল তৃণমূল। এবার ভবানীপুর উপনির্বাচনে আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে কমিশন। প্রথমে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার কথা থাকলেও শেষমুহূর্তে আরও ২০ কোম্পানি আধা-সেনা মোতায়েন করা হয় সেখানে। এত প্রস্তুতির পরে নির্বিঘ্নে নির্বাচন করাতে পেরে যেন হাফছেড়ে বেঁচেছে সিইও কার্যালয়।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক