সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
রূপগঞ্জের যাত্রামুড়া এলাকার জোবেদা টেক্সটাইল মিলে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শিশু শ্রমিক হত্যার পর সেখান থেকে ২৪ শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার দুপুরে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়া শিশু শ্রমিকরা হলেন- আব্দুল্যাহ মিয়া (১৪), মিঠুন (১৪), হাসানুর রহমান (১৬), আল-আমিন (১৭), রুবেল মিয়া (১৭), মোঃ হোসেন (১৮), রিপন (১৭) সুমন (১৫), নাজমুল (১৬), শাকিব (১৬), নয়ন (১৫), সফিকুল ইসলাম (১৬), সাফায়েত হোসেন (১৪), বিদুৎ (১৫), বিশ্বজিৎ রায় (১৫), শরীফ (১৭), তোফায়েল হোসেন (১৬), রানা মিয়া (১৭), আনোয়ার হোসেন (১৫), মো. রানা (১৬), মুন্না মিয়া (১৭), মাহবুব (১৬), মাসুম (১৬) ও মিলন মিয়া (১৭)। এদের উদ্ধার করার পরে রূপগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলার সহকারী পুলিশ সুপার ফোরকান শিকদার জানান, শিশু শ্রম একেবারেই নিষিদ্ধ। এ কারখানা হতে ২৪ জনকে উদ্ধারের পর তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৪ জুলাই দুপুরে ‘জোবায়দা টেক্সটাইল’ মিলে শিশু শ্রমিক সাগর বর্মণের (১০) পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠে। রাতেই কারখানার চার কর্মকর্তার নাম উল্লেখসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের বাবা রতন বর্মণ। মামলায় গ্রেপ্তার কারাখানার কর্মকর্তা নাজমুল হুদাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
নিহত শিশু শ্রমিক সাগর বর্মণের বাড়ি নেত্রকোনার খালিয়াজুরী থানার রাজিবপুর এলাকায়। সে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে উপজেলার তারাব পৌরসভার দিঘীবরাব এলাকায় বসবাস করে করতো। সাগরের রতন বর্মণের দাবি, তার ছেলেকে পায়ুপথ দিয়ে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
সূত্র: বাংলামেইল