সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
কয়েকদিন ধরেই চলছে টানা বর্ষণ। আর এই বৃষ্টির পানিই মনে হয় ‘কাল’ হয়ে দাঁড়ালো বাস মালিকদের। দ্রুতগতির গাড়ির চাকা থেকে ‘কাঁদা-পানি’ ছিটকে গায়ে পড়াকে নিয়ে কেন্দ্র করে ভোলায় ১১টি বাস ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসার প্রয়াস চলছে, তবে এলাকায় এখনো চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।
সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় বাসের স্টাফদের মধ্যে সবুজ, রাহাত, তানজিল, শিপনসহ আরো কয়েকজন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, সড়কের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন চরফ্যাশন কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি শিপন। চালকের ‘অসাবধানতায়’ দ্রুতগতির গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে গর্তের পানি ছিটকে গিয়ে পড়ে তার গায়ে।
এতে উত্তেজিত হয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি ওই বাসটি থামিয়ে চালক সবুজকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে বাসের স্টাফরা উত্তেজিত হয়ে ছাত্রলীগ সভাপতিকে বাস ডিপোতে নিয়ে আটকে রাখে। এ খবর পেয়ে চরফ্যাসন সরকারি কলেজের ছাত্ররা এসে বাসস্টান্ডে হামলা চালায়।
চরফ্যাসন বাস মালিক সমিতির সভাপতি মনিরুদ্দিন চাষী জানান, ছাত্ররা হামলা চালিয়ে তাদের ১১টি বাস ভাংচুর করেছে। বাসের স্টাফদের মধ্যে সবুজ, রাহাত, তানজিল, শিপনসহ আরও কয়েক জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় তারা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে চরফ্যাসন পৌর মেয়র বিষয়টির সুষ্ঠু মিমাংসার জন্য সন্ধ্যায় উভয়পক্ষকে তার কার্যালয়ে ডেকেছেন। সুষ্ঠু সমাধান না হলে তারা আইনের আশ্রয় নেয়ার চিন্তা করবেন।
এ দিকে চরফ্যাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, ১১টি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে বিকেল পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।
সূত্র: বাংলামেইল