শনিবার , ২১ আগস্ট ২০২১ | ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

টেকনাফে এক পোয়া মাছের দাম পাঁচ লাখ টাকা

Paris
আগস্ট ২১, ২০২১ ১১:২৭ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের টেকনাফে জেলেদের জালে একটি বড় পোয়া মাছ ধরা পড়েছে। কালো পোয়া মাছটির ওজন হয়েছে ২৬ কেজি ৫০০ গ্রাম। এ ওজনের পোয়া মাছটি বিক্রি হলো পাঁচ লাখ টাকায়। আজ শনিবার (২১ আগস্ট) সকালে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রি পাড়া এলাকার মো. শাহ আলমের মালিকানাধীন মাছ ধরার নৌকায় জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে।

স্থানীয় জেলেরা জানান, এয়ার ব্লাডার বা বায়ুথলির কারণে পোয়া মাছের দাম বেশি হয়ে থাকে। মাছের বৈশিষ্ট্য অনুসারে দামও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। পুরুষ পোয়া মাছ হওয়ায় মাছটির দাম বেশি পাওয়া গেছে। তবে সেটি সোনালী বর্ণের হলে আরো কয়েক গুণ দাম পাওয়া যেত।

নৌকার মালিক মো. শাহ আলম বলেন, শুক্রবার সকালে কয়েকজন জেলে নিয়ে আমার ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি সাগরে মাছ ধরতে যায়। আজ শনিবার সকালে তারা মাছ ধরে ফিরে আসার পথে জাল তোলার পর দেখতে পায় বড় পোয়া মাছটি। তারা মাছটি নিয়ে কূলে ফিরে আসে। বিভিন্ন মাছ ব্যবসায়ীর সঙ্গে মাছটির দরদাম শেষে কক্সবাজারের নিয়ে গেলে সিরাজ নামে এক ব্যবসায়ী মাছটি প্রতি কেজি ২০ হাজার টাকা করে কিনে নেন। এসময় তিনি মাছের মোট মূল্য পাঁচ লাখ ৩০ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা কম দিতে চাইলে আমি তাতে রাজি হই।

তিনি আরো জানান, মাছটি পুরুষ না স্ত্রী সেটি নিশ্চিত করার পর বিক্রি করা হয়েছে। পুরুষ পোয়া মাছ হওয়াতে দাম পাওয়া গেছে। গত মার্চে আমার মাছধরার নৌকায় ৪০ কেজি বা এক মণ ওজনের আরো একটি পোয়া মাছ ধরা পড়েছিল। সেটি স্ত্রী পোয়া মাছ হওয়াতে ওজন বেশি স্বত্বেও আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। কয়েক মাসের ব্যবধানে আরো একটি বড় পোয়া মাছ ধরা পড়ায় অনেক খুশি লাগছে। ভালো দাম পাওয়া গেলে জেলেরা উপকৃত হবে।

সাবরাং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ফজলুল হক জানান, নৌকার মালিক শাহ আলম আমার নিকটাত্মীয় ও প্রতিবেশি। তার নৌকায় জেলেদের জালে ধরা পড়া পোয়া মাছটি পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রির বিষয়টি আমিও নিশ্চিত হয়েছি।

এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, টেকনাফ উপকূলে প্রতিবছর দুই চারটা এ ধরনের বড় পোয়া মাছ ধরা পড়ে জেলেদের জালে। পোয়া মাছের এয়ার ব্লাডার বা বায়ুথলির কারণে এটির দাম বেশি হয়ে থাকে। পোয়া মাছের এয়ার ব্লাডার দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি হওয়ায় মাছটির কদর রয়েছে।

সূত্র: কালের কন্ঠ

স/রি

সর্বশেষ - জাতীয়