নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে শহীদ কামারুজ্জামান ও জাহানারা জামান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মহানগরীতে বসবাসরত গরীব, অসহায়, দুস্থ্য, নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল ২০ হাজার মানুষের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রীর বিশেষ প্যাকেজ বিতরণের অংশ হিসেবে আরো ১২০০ ব্যক্তির মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান ও জাহানারা জামানের সুযোগ্যপুত্র রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
এরআগে মঙ্গলবার (৪ মে) বিকেলে হাজী লাল মোহাম্মদ ঈদগাহ মাঠে ১০, ১৩ ও ১৫নং ওয়ার্ডের ৯০০ জনের মধ্যে এবং সোমবার (৩ মে) মহানগরীর ১, ২, ৪ ও ৮ নং ওয়ার্ডের ১২০০ ব্যক্তির মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়। নগরীর প্রত্যেক ওয়ার্ডে ৩০০জন করে ৩৭টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডের ১১ হাজার ১০০জন ব্যক্তি ও পেশাজীবীসহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যবৃন্দ সহ মোট ২০ হাজারের অধিক ব্যক্তিকে খাদ্য সামগ্রীর এই বিশেষ প্যাকেজ প্রদান করা হচ্ছে।
ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, করোনাকালীন এই সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাধ্যমতো মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে আমার বাবা শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান ও মাতা জাহানারা জামানের নামে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২০ হাজার ব্যক্তিকে খাদ্য সামগ্রীর বিশেষ প্যাকেজের প্যাকেট প্রদান করছি। করোনকালীন ও ঈদের আগে এই খাদ্য মানুষের অনেক উপহার হবে, অন্তত ৭/৮ দিন তারা এটি দিয়ে পরিবার নিয়ে ভালোমতো চলতে পারবেন।
মেয়র আরো বলেন, করোনার সংক্রমণের শুরু থেকে আমি মানুষের পাশে আছি। করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ গরীব, অসহায় ও কর্মহীন মানুষ লক্ষাধিক মানুষকে দফায় দফায় খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছি। সরকারি সহায়তার পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগেও বিপুল সংখ্যক মানুষকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। আগামীতে আরো সরকারি সহায়তা পাওয়া যাবে। সেগুলোও মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।
এরআগে রাজশাহী শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠজুড়ে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে সারি সারি করে বসানো হয় ১২০০ টি চেয়ার। দুপুরের পর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাঠে প্রবেশ করে চেয়ারে বসেন উপকারভোগীরা। প্রতিটি চেয়ারের পাশে রাখা হয় একটি করে ঈদ উপহারের বিশেষ প্যাকেজের প্যাকেট। প্রতিটি প্যাকেটে আছে ৮ কেজি চাল, ১ কেজি পোলাও চাল, ২ কেজি ডাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি চিনি ও ১ প্যাকেট সেমাই।
বিকেলে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন, সংক্ষেপে বক্তৃতা করেন। এরপর কয়েকজনের হাতে খাদ্য সামগ্রীর বিশেষ প্যাকেট তুলে দিয়ে বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এরপর প্রতিটি ব্যক্তি তার চেয়ারের পাশে রাখা প্যাকেট নিয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে সারিবদ্ধ হয়ে মাঠ ত্যাগ করেন। বিতরণ কার্যক্রমে সহযোগিতা করে রেড ক্রিসেন্টের যুব সদস্যরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন ও আহসানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড আসলাম সরকার, ত্রাণ ও সমাজকল্যান সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, প্রচার সম্পাদক দিলীপ ঘোষ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জিয়া আজাদ হোসেন হিমেল, সদস্য শাহাবুদ্দিন ও বাদশা শেখ, শাহ মখদুম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আখতারুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক ও ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাদত আলী শাহু সহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
স/অ