সিল্কসিটিনিউজ ক্রীড়া ডেস্ক:
জীবনের সঙ্গে ক্রিকেটের অদ্ভুত মিল। জীবনের মতো ক্রিকেট যেমন কখনো কখনো উজাড় করে দেয়, তেমনি কেড়েও নেয় নিষ্ঠুরের মতো। কথাটা ভালোভাবে বুঝতে পারছেন মুস্তাফিজুর রহমান। আগের দিন ইংল্যান্ডের মাটিতে অভিষেকেই হৈচৈ ফেলে দিয়ে চার উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। হয়েছিলেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়। অথচ তার পরদিনই বাংলাদেশের কাটার-মাস্টার ব্যর্থ। শুক্রবার রাতে ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে একটিও উইকেট পাননি মুস্তাফিজ। ব্যর্থ তাঁর দলও। সাসেক্সকে সহজেই ছয় উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে সারে।
প্রতিপক্ষের মাঠ ওভালে মুস্তাফিজ বোলিংয়ে এসেছেন ইনিংসের চতুর্থ ওভারে। প্রথম ওভারটা ভালো কাটেনি ‘ফিজ’-এর। প্রথম চার বলে মাত্র দুই রান দিয়ে শুরুটা ভালোই করেছিলেন অবশ্য। কিন্তু ওভারের শেষ দুই বলে পরপর দুটো চার মেরে দিয়েছেন জেসন রয়। প্রথম ওভারে কাটার-মাস্টারের খরচ তাই ১০ রান।
সে তুলনায় দ্বিতীয় ওভার অনেক ভালো কেটেছে মুস্তাফিজের। ইনিংসের ১৩তম ওভারে ফিরে প্রতিপক্ষের রানের চাকা বেঁধে রেখেছেন তিনি। ওই ওভারে মাত্র চার রান নিতে পেরেছে সারে।
চার ওভার পর আবার বল হাতে পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিভাবান বাঁহাতি পেসার। ততক্ষণে অবশ্য ম্যাচের ভাগ্য অনেকখানি হেলে পড়েছে সারের দিকে। মুস্তাফিজ তৃতীয় ওভার শুরু করার আগে ২৪ বলে ২০ রান প্রয়োজন ছিল সারের। নিজের তৃতীয় ওভার ‘ডট’ বল দিয়ে শুরু করেছেন ‘ফিজ’। পরের চার বলে দিয়েছেন মাত্র পাঁচ রান। কিন্তু ওভারের শেষ বলে বেন ফোকস চার মারলে খরচ হয়ে যায় ৯ রান।
১৯তম ওভারে নিজের চতুর্থ ও শেষ ওভার করতে এসেছেন মুস্তাফিজ। তখন জয়ের জন্য ১২ বলে ৮ রান প্রয়োজন প্রতিপক্ষের। প্রথম বলে দুই রান নেওয়ার পর দ্বিতীয় বলে ছক্কা মেরে খেলা শেষ করে দিয়েছেন ক্রিস মরিস। ৩ দশমিক ২ ওভারে ৩১ রান দিলেও উইকেট না পাওয়ার দুঃখ নিয়েই মাঠ থেকে ফিরতে হয়েছে মুস্তাফিজকে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ছয় উইকেটে ১৫৩ রান করেছে সাসেক্স। সর্বোচ্চ ৪৫ রান এসেছে ক্রেইগ ক্যাশোপার ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ রান ক্রিস ন্যাশের।
সূত্র: এনটিভি