অবশেষে দীর্ঘ ১৫ বছর পর পাকিস্তান সফরের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণে তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে হতে পারে সফরটি। সংক্ষিপ্ত সফর নিয়ে পিসিবির সাথে ইসিবি এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ ২০০৫ সালে পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল ইংল্যান্ড।
এক বিবৃতিতে ইসিবি জানায়, ‘পিসিবির কাছ থেকে নতুন বছরে সংক্ষিপ্ত সফরের জন্য আমরা আমন্ত্রণ পেয়েছি। পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরতে শুরু করেছে, বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানাই। এক্ষেত্রে আমরাও চেষ্টা করব পাকিস্তানকে সহায়তা ও সমর্থন দিতে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পাকিস্তান সফর নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে ইসিবি।’
করোনার কারণে গত মার্চ থেকে বিশ্ব ক্রিকেট থমকে যায়। অবশেষে জুলাইয়ে ইংলিশরাই ক্রিকেটকে মাঠে ফেরায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ-আয়ারল্যান্ডের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ আয়োজন করে ইসিবি। জৈব-সুরক্ষার মধ্যে ইংল্যান্ড সফর করে পাকিস্তান। তবে করোনার কারণে ইংল্যান্ড সফর পাকিস্তান বাতিল করতে পারত। কিন্তু তা তারা করেনি। সফর বাতিল করলে ইংল্যান্ডের ক্ষতি হতো ৩৬৬ মিলিয়ন ডলার। আর্থিক ক্ষতির সমুখীন হতে না চাওয়ার কারণেই পাকিস্তান সফরের জন্য ইতিবাচক এখন ইংল্যান্ডও।
পাকিস্তান দলের ইংল্যান্ড সফরের পর আলোচনার ডাল-পালা বড় হতে থাকে। পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরাম বলেছিলেন, ‘পাকিস্তানের ক্রিকেটের কাছে ইংলিশ ক্রিকেট ঋণী। ইংল্যান্ডের বড় ধরনের আর্থিক লোকসান থেকে রক্ষা করেছে পাকিস্তান। তাই আমি মনে করি, খুব শীঘ্রই ইংল্যান্ডেরও উচিত পাকিস্তান সফর করা।’ ওই সিরিজ শেষে পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক জো রুট, ‘পাকিস্তান সফরে যেতে পারলে আমি খুশি হব। সেখানে যাওয়া এবং খেলাটা উপভোগ্য হবে বলে আমি মনে করি।’
২০০৯ সালে পাকিস্তান সফররত শ্রীলংকা ক্রিকেট দল বহনকারী বাসে জঙ্গী হামলার পর থেকে সন্ত্রাস কবলিত দেশটিতে আন্তর্জাতিক নিষিদ্ধ ছিল বহু দিন। শেষ পর্যন্ত ২০১৫ সালে ২টি টি-টুয়েন্টি ও ৩টি ওয়ানডে খেলতে পাকিস্তান সফরে যায় জিম্বাবুয়ে দল। তবে গত কয়েক বছরে বিশ্ব একাদশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলংকা ও বাংলাদেশ দল পাকিস্তান সফর করে। সর্বশেষ পাকিস্তান সফর করে বাংলাদেশ। করোনার কারণে এখনো ওই সিরিজের একটি করে টেস্ট ও ওয়ানডে বাকি আছে।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ
