টানা চার ম্যাচে হার। সেই সঙ্গে প্লে-অফ থেকে আরও দূরে সরে গেল প্রথম আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা। গতকাল শুক্রবার (৯ অক্টোবর) শারজায় দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে ৪৬ রানে হারল রাজস্থান রয়্যালস। উল্টো ছবি ক্যাপিটালসের। ৬ ম্যাচের পাঁচটি জিতে পয়েন্ট তালিকায় ফের একবার এক নম্বরে উঠে এল দিল্লি।
১৮৫ রান তাড়া করতে নেমে ১৩৮ রানে শেষ হয়ে যায় রাজস্থান রয়্যালস। শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে রয়্যালস। যশ্বস্বী জাসওয়াল ও জোস বাটলারের ওপেনিং জুটি মাত্র ১৫ রানে তোলে। তারপর স্টিভ স্মিথ, সাঞ্জু স্যামসন ও মহিপাল লোমরুর ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হন৷ এরপর রাহুল তেওটিয়া কিছুটা চেষ্টা করলেও তার একার পক্ষে এই রান তাড়া করা সম্ভব ছিল না। ২৯ বলে ৩৮ রান করে রাবাদার শিকার হন তেওটিয়া।
বাকিরা কেউ দাঁড়াতেই পারেনি। রয়্যাালসের ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোর তেওটিয়ার ৩৮ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর জাসওয়ালের ৩৪ রান। মাত্র চার ব্যাটসম্যান দুই অংকের রানে পৌঁছন। বাকিরা কেউ দুই অংকের রানে পৌঁছতে পারেননি। ফলে কোনও পার্টনারশিপ গড়ে ওঠেনি। ১৯.৪ ওভারে শেষ হয়ে যায় রাজস্থান রয়্যালসের ইনিংস। দুরন্ত বোলিং করেন কাগিসো রাবাদা। মাত্র ৩৫ রান খরচ করে তুলে নেন ৩টি উইকেট। এছাডা়ও দারুণ বোলিং করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, অক্ষর প্যাটেল, মার্কাস স্টওনিস এবং নর্টজে।
এর আগে প্রথম ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৪ রান তোলে দিল্লি। শারজায় টস জিতে স্টিভ স্মিথের প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্তকে বল হাতে স্বাগত জানিয়েছিলেন আর্চার। ইনিংসে শেষ ওভারেও মাত্র ৩ রান দিয়ে দিল্লিকে ১৮৪ রানে বেঁধে রাখলেন তিনি। আর্চার ৪ ওভারে মাত্র ২৪ খরচ করে তুলে নেন তিন উইকেট। ইনিংসের শুরুতে ফর্মে থাকা দিল্লির দুই ওপেনার পৃথ্বী শ্ব ও শিখর ধাওয়ানকে ডাগ-আউটে ফেরত পাঠিয়ে দারুণ শুরু করেছিল রাজস্থান রয়্যালস।
৪২ রানের মাথায় দিল্লির দুই ওপেনারই ডাগ-আউটে ফিরে যান। দু’জনেই আর্চারের শিকার। পৃথ্বী ১৯ ও ধাওয়ান মাত্র ৫ রান করেন। এরপর দারুণ ফিল্ডিং করে ফর্মে থাকা অপর দুই ব্যাটসম্যান শ্রেয়াস আইয়ার ও ঋষভ পন্তকে দ্রুত ডাগ-আউটে পাঠায় রাজস্থান। দিল্লির ক্যাপ্টেন ২২ ও পন্ত ৫ রান করেন। ৯.২ ওভারে ৭৯ রানে চার উইকেট হারায় দিল্লি। সেখান থেকে মার্কাস স্টওনিস ও শিমরন হেটমাইয়ের ঝড়ো ইনিংস দিল্লিকে দেড়শো রানের গণ্ডি টপকাতে সাহায্য করে। হেটমায়ারের ২৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংস দিল্লির ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যায়। পাঁচটি ছক্কা ও একটি বাউন্ডারি মারেন তিনি।
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন