মঙ্গলবার , ১৮ আগস্ট ২০২০ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বাংলাদেশ-ভারতের আলোচনায় কী থাকছে

Paris
আগস্ট ১৮, ২০২০ ১০:৪৫ অপরাহ্ণ

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা দুই দিনের সফরে মঙ্গলবার ঢাকায় পৌঁছেছেন। বুধবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন তিনি।

করোনা মহামারীর মধ্যে শ্রিংলার এ ঝটিকা সফরকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন বিশ্লেষকরা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ বার্তা নিয়ে তিনি ঢাকায় এসেছেন বলেও মনে করছেন তারা।

এদিকে মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করতে ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এগিয়ে নিতে এ সফরে এসেছেন শ্রিংলা।

শ্রিংলার সফর নিয়ে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি জানান, তার (শ্রিংলা) সফর ঝটিকা বা আকস্মিক নয়, এটা নিয়মিত। যেহেতু আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী ভারত, সুতরাং তাদের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়েসহ বিভিন্ন ধাপে প্রচুর ইন্টারঅ্যাকশন হয়। এ বছর কোভিডের কারণে বরং কমই হচ্ছে।

মোমেন বলেন, বুধবার দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকা উৎপাদনের সঙ্গে ভারতের যুক্ত থাকার বিষয়ে আলোচনা হবে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকাসহ অন্য টিকাগুলো যাতে বাংলাদেশ দ্রুত পেতে পারে, সে বিষয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা অব্যাহত রাখা হচ্ছে। সেটা অ্যামেরিকানদের হোক, অক্সফোর্ডের হোক, তারা ইন্ডিয়ায় ট্রায়াল দিচ্ছে, এর সবটি কীভাবে আমরা দ্রুত পেতে পারি, সে ব্যাপারে সবার সঙ্গে আমাদের আলাপ-আলোচনা চলছে। এটার অংশ হিসেবে আমরা ভারতের সঙ্গে আলাপ করব। আমরা কীভাবে সবার সঙ্গে সহযোগিতা করতে পারি, এ বিষয়ে আলোচনা করব।

বৈঠকের অন্যান্য এজেন্ডা সম্পর্কে সচিব বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয় সব সময় আমাদের এজেন্ডার মধ্যে থাকে। বাংলাদেশ এবং ভারত কীভাবে আরও সহযোগিতা জোরদার করতে পারে- সে বিষয়টিও আছে।

এছাড়া শ্রিংলার মার্চের সফরে আলোচনার অগ্রগতিও এবারের বৈঠকের এজেন্ডায় থাকছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে বেশ কিছু ভালো কাজ হয়েছে, ট্রান্সশিপমেন্টের কিছু কাজ হয়েছে, সব মিলিয়ে যেসব অগ্রগতি হয়েছে সেগুলো আমরা আলোচনা করব। সামনে আরও কী করা যায়, সেগুলো আলোচনা করব। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়টিও আলোচনায় থাকছে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।

বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তান ও চীনের সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা খবর এসেছে। এর সঙ্গে এ সফরের সম্পর্ক আছে কিনা- সে প্রশ্নে পররাষ্ট্র সচিব মোমেন বলেন, এখানে তেমন কিছু স্পেকুলেট করার সুযোগ নেই। আগে যেটা বললাম, আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক আসলে অনেক গভীর। এই গভীর সম্পর্ক আমাদের সারাক্ষণ নার্সিং করতে হয়, যাতে কোনো ভুল বোঝাবুঝির স্কোপ না থাকে। আমরা সাম্প্রতিক সময়ে দেখেছি, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নানা রকমের স্পেকুলেটিভ নিউজ এসেছে সেগুলো নিয়েও আমরা আলোচনা করব যে, এগুলোর কোনো ভিত্তি আমরা দেখি না। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেকটা নিবিড় আছে, সেটা আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধে প্রোথিত আছে। সে কারণে আমাদের যেন কোনো ধরনের ল্যাপস না থাকে- সে ব্যাপারেও আমরা আলোচনা করব। সূত্র: যুগান্তর

সর্বশেষ - জাতীয়