শুক্রবার , ৩১ জুলাই ২০২০ | ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

কোরবানি ঘিরে মসলার বাজার গরম

Paris
জুলাই ৩১, ২০২০ ৯:৪৮ পূর্বাহ্ণ

প্রতি বছরের মতো এবারও কোরবানির ঈদ ঘিরে মসলার খুচরা বাজারে দামের উত্তাপ ছড়াচ্ছে। চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত আমদানি হওয়ায় পাইকারি বাজারে দাম কমলেও খুচরা পর্যায়ের সিন্ডিকেটের কারণে ভোক্তারা সুফল পাচ্ছে না। বরাবরের মতো এ বছরও বেশি দরেই সব ধরনের মসলাজাতীয় পণ্য কিনতে হচ্ছে। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুর্বল বাজার মনিটরিংয়ের কারণে বিক্রেতারা ভোক্তার পকেট কাটছে। যা করোনা পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই কাম্য নয়।

রাজধানীর নয়াবাজার, রায়সাহেব বাজার, কেরানীগঞ্জের কালিগঞ্জ বাজারসহ জিনজিরা খুচরা বাজার ঘুরে এবং চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার পাইকারি বাজারে যে পেঁয়াজ ১৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, সেটি রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকা দরে। পাইকারি পর্যায়ে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া রসুন রাজধানীর খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা। এছাড়া পাইকারি পর্যায় থেকে ৬০-৬৫ টাকা বেশি নিয়ে খুচরা বাজারে কেজিতে আদা বিক্রি হয়েছে ১২২-১২৫ টাকা।

একই দিন পাইকারি পর্যায়ের প্রতি কেজি ২৫০ টাকার জিরা রাজধানীর খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৩৯০ টাকা। পাইকারি পর্যায় থেকে কেজিতে ২০০ টাকা বেশি দরে খুচরা বাজারে এলাচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি দুই হাজার ৭০০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি দারুচিনি পাইকারি পর্যায়ে ২৫০ টাকা বিক্রি হলেও রাজধানীর খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হয়েছে ৪০০-৪২০ টাকা।

রাজধানীর খুচরা বাজারের মসলা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারিতে দাম কম ঠিক আছে। কিন্তু আমাদের খুচরা বাজার পর্যন্ত আনতে বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে। যে কারণে বেশি দরে বিক্রি করা ছাড়া আর কোনো গতি নেই।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি অমর কান্তি দাস  বলেন, এ বছর মসলাজাতীয় সব পণ্যের চাহিদার তুলনায় বেশি আমদানি হয়েছে। পণ্যের কোনো ধরনের ঘাটতি নেই। এজন্য সব আইটেমের দাম সহনীয় ছিল। তবে করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসায় মন্দার কারণে বিক্রি কমেছে। যে কারণে দাম আরও কমে গেছে। তিনি জানান, খুচরা পর্যায়ে বাড়তি দরে বিক্রি করার কোনো ধরনের যৌক্তিকতা নেই। এটা তাদের মনগড়া কথা। তারা সিন্ডিকেট হয়ে বেশি দরে বিক্রি করছে।

চট্টগ্রাম খাতুনগঞ্জের এইচআর ট্রেডার্সের মালিক ও পাইকারি মসলা বিক্রেতা সেলিম উল্লাহ খান বলেন, এবার দেশে মসলাজাতীয় পণ্যের কোনো সংকট নেই। পাইকারিতে দাম গত এক মাসের ব্যবধানে অনেক কমেছে। সর্বশেষ গত সপ্তাহের তুলনায়ও দাম আরও কমেছে। তিনি বলেন, কেজিতে যে পেঁয়াজ গত সপ্তাহে ২৮ টাকা বিক্রি হয়েছে তা বৃহস্পতিবার বিক্রি হয়েছে ২০ টাকা। ৬৫ টাকার রসুন বিক্রি হয়েছে ৫০-৫২ টাকা। ২৮০ টাকা কেজির জিরা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা। ২৮০০ টাকা কেজি দরের এলাচ এদিন বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ টাকা।

জানতে চাইলে ভোক্তার স্বার্থ নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ (সিওয়াইবি) নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও প্রতি বছরের মতো এবারও দুর্বল বাজার মনিটরিংয়ে বিক্রেতারা মসলার বাড়তি দর নিয়ে ভোক্তার পকেট কাটছে। সার্বিক মনিটরিংয়ের আওতায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।

 

সুত্রঃ যুগান্তর

সর্বশেষ - অর্থ ও বাণিজ্য