নিজস্ব প্রতিবেদক:
শাক-সবজির দাম না বাড়লেও বেড়েছে লেবুর দাম। চাহিদা বেশি থাকায় লেবুর দাম বেড়েছে বলছে ব্যবসায়ীরা। তবে অনেকটাই স্থিতিশীল রয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সব ধরনের পণ্য বাজারে আছে। কিন্তু ক্রেতা কম।
অন্যদিকে বেড়েছে সব ধরনের ফলের দাম। বিভিন্ন ফলে কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। ফল বিক্রেতা মো. রতন আলী বলেন, করোনাভাইরাস ভীতি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে চাহিদা বেড়েছে ফলের। ফল কিনতে এসে কেউ কেউ বলছেন, বিভিন্ন ফল ও টক জাতীয় খাবার খেলে আক্রান্তের ঝুঁকি কম থাকে। (যদিও এসব বক্তব্যের বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই) এছাড়া পরিবহণ সংকটের কারণে কিছুটা দাম বেড়েছে।
তিনি বলেন, সপ্তার ব্যবধানে প্রতি ফলের কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। এর মধ্যে আপেল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, কমলা ১৬০ টাকা, আঙ্গুর ২২০ থেকে ২৪০ টাকা দরে। তবে সপ্তা ব্যবধানে আঙ্গুরে বেড়েছে ২০ টাকা। এছাড়া ২০ টাকা বেড়ে মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে।
এদিকে, সবজির দাম স্বভাবিক রয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ী আমিন ইসলাম। তিনি বলেন, বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, শিম ৩০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, শসা ২০ টাকা, বাঁধা কপি প্রতিটি ১৫ টাকা, টমেটো ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাজারে প্রচুর সবজি রয়েছে। তবে ক্রেতা নেই। অল্প করে মাল কিনেও বিক্রি করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। এছাড়া রাজশাহী শহর ফাঁকা। বাইরের মানুষগুলো বাড়িতে ফিরেছে। তাই বেচা-কেনা কমে গেছে।
সবজি ক্রেতা জয়া বলেন, সবজির দাম কম মনে হচ্ছে। করোনা অতঙ্কে মানুষ আগেই ফ্রিজ ভর্তি করেছে। তাই অল্প অল্প করে কিনছে সবজি।
নগরীর উপশহর এলাকার মেসার্স ভ্যারাইটি স্টোরের বিক্রেতা ফরিদ হোসেন জানান, কোনো জিনিসের দাম বাড়ে নি। আগের মতই আছে।
তিনি বলেন, আউশ চাল ৫০ টাকা, স্বর্ণা ৪২ টাকা, মিনিকেট ৫৬ টাকা, আতপ চাল ৯০ টাকা, মসুরের ডাল (এলসি) ৭০ টাকা, বুটের ডাল ৯২ ও কালাই ডাল ১০৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সয়াবিন তেল ৮৮ টাকা, চিনি ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
স/আ