দুর্গাপুর প্রতিনিধি:
রাজশাহী দুর্গাপুরে দূরত্ব বজায় রাখতে দোকানগুলোতে সাদা রং দিয়ে গোল চিহ্ন কাজে আসছে না। গোল বৃত্ত না মেনে গাদাগাদি ভাবে দাঁড়িয়ে নেয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় পণ্য। ফলে এ নিয়ে সচেতন মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে নানা প্রতিক্রিয়া। স্থানীয়রা মনে করছেন আরো জনসচেতনতা ও প্রচার -প্রচারণার বিশেষ প্রয়োজন।
করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে দেশবাসীকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের নির্দেশনা দেন সরকার। অনেকেই সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার চেষ্টা করছেন। তবে ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চাল-ডাল-তেল-লবন ইত্যাদি দোকানে নিত্য প্রয়োজনিয় পণ্য কিনতে বাড়ির বাইরে বের হতে হচ্ছে। জরুরী প্রয়োজনে বের হওয়া এসব মানুষ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছে না। উপজেলা সদর বাজার সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য চখে পড়েছে।
দুর্গাপুর বাজারে কয়েকটি ফার্মেসিতে গিয়ে দেখা যায়, সাদা রং দিয়ে গোল চিহ্ন করা স্থান পড়ে আছে ফাঁকা। সেখানে না দাঁড়িয়ে গায়ের সঙ্গে গা ঘেঁষে ক্রেতারা কিনছেন ওষুধ। এছাড়াও বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজি, মুদি দোকানে একই দৃশ্য দেখা গেছে। দুর্গাপুর উপজেলা মোড়ে অবস্থিত স্বচ্ছ ফার্মেসীতে নিয়োম না মেনে ওষুধ নিতে আসা আলামীন নামের এক ক্রেতার কাছ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন ,কেউতো নিয়ম মনছেন না আমি এক মেনে কি করব। এছাড়াও গ্রামের হাট-বাজারগুলোতে বিকেল না হতেই বেড়ে যাচ্ছে লোকসমাগম।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় এলাকায় মাইকিং করে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে বার বার বলা হচ্ছে। করোনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। অব্যাহত প্রচার-প্রচারণার পরেও মানুষ সচেত হচ্ছে না।
উপজেলার হাসপাতাল মোড়ে অবস্থিত এক ফার্মেসির কর্মচারীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ক্রেতারা গোল বৃত্তের ভেতরে দাঁড়িয়ে থাকার নিয়ম মনছেন না। তাদেরকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও মানতে নারাজ। ফলে বাধ্য হয়ে এভাবেই জনসমাগমের মধ্য দিয়ে ব্যবসা করতে হচ্ছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
এবিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহসীন মৃধা বলেন, আমরা করোনা সংক্রমণের হাত থেকে মানুষকে রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বারবার প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে দূরত্ব বাজায়ের বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব। আর এ কাজে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এবং নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে।
স/আর