সিল্কসিটিনিউজ ক্রীড়া ডেস্ক:
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চিটাগং ভাই্কিংসের। দলীয় ১৭ রানেই ফিরে যান অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যানের বিদায়ে চাপে পড়ে যায় দলটি। এরপর আরও দ্রুত বিদায় নেন তিন ব্যাটসম্যান। তবে হার মানেননি ওপেনার এনামুল হক বিজয় এবং মোহাম্মদ নবী।
দুজনের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে রাজশাহী কিংসকে ১৯১ রানের টার্গেট দিল চিটাগং ভাইকিংস। তবে রাজশাহী কিংসের বোলারদের রীতিমতো তাণ্ডব চালান নবী। তিনি ৪৮ বল খেলে করেন ৮৭ রান। অপর প্রান্তে এনামুল করেন ৪০ বলে করেন ৫০ রান।
এর আগে চট্টগামের শহীদ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এর শুক্রবারের প্রথম খেলায় টসে জিতে চিটাগং ভাইকিংসকে ফিল্ডিংয়ে পাঠায় রাজশাহী কিংস। রাজশাহীর হয়ে শুরুতে আঘাত হানেন তরুণ স্পিন বিস্ময় মেহেদী হাসান মিরাজ। তার ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে ব্যক্তিগত ৫ রানে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তামিম ইকবাল।
এরপর হাত খুলে মারতে শুরু করেছিলেন ডোয়াইন স্মিথ। ৬টি চার এবং ১ ছক্কায় ১৯ বলে ৩৪ রান করার পর তিনি শিকার হন আবুল হাসান রাজুর। রাজুর দারুণ একটি ইয়র্কারে সরাসরি বোল্ড হয়ে যান এই ক্যারিবীয় টি-২০ স্পেশালিস্ট। স্মিথের পর সামিত প্যাটেলের বলে উইকেটকিপার নুরুল হাসানের হাতে ধরা পড়েন ইলিয়ট (৮)। দলীয় ১০ রানের ব্যবধানে একই বোলারের বলে ফরহাদ রেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জহুরুল ইসলাম (২)। অপর প্রান্তে তখন একাকী এনামুল হক বিজয়।
জহুরুলের বিদায়ের পর এনামুলের সঙ্গী হন বিপিএলে দারুণ পারফর্মেন্স দেখানো মোহাম্মদ নবী। নবীকে পেয়ে শুরুতে ধীরে ব্যাটিং করা এনামুল হাত খুলতে শুরু করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাদের জুটি ৫০ অতিক্রম করে। উইকেটে পরে এলেও ধুমধারাক্কা ব্যাট চালিয়ে ২চার এবং ৪ ছক্কার সাহায্যে ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি পুরণ করেন মোহাম্মদ নবী। বেশিক্ষণ অপেক্ষা করেননি এনামুলও। নবীর চেয়ে একটু বেশি বল খরচ করে ৩৯ বলে হাফসেঞ্চুরি পুরণ করেন তিনি। এতে রয়েছে ৪টি চার এবং ২টি ছক্কার মার।
হাফসেঞ্চুরি পুরণ করেই ফরহাদ রেজার বলে ছক্কা মারতে গিয়ে সামিত প্যাটেলের সহজ ক্যাচে পরিণত হন এনামুল। ভাঙে ১০৫ রানের দারুণ প্রয়োজনীয় এবং সময়োপযোগী জুটি। তবে আগের মতই ব্যাট চালাতে থাকেন নবী। শেষ পর্যন্ত তার ব্যাট থেকে আসে ৩৭ বলে ৮৭ রান। বাউন্ডারির তালিকায় যুক্ত হয় আরও ২টি চার এবং ৪টি ছক্কা। নবীর এই ঝড়ে চিটাগংয়ের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৯০ রান।
দিনের অপর খেলায় সন্ধ্য সোয়া ছয়টায় মুখোমুখি হবে এখনও পর্যন্ত জয়ের দেখা না পাওয়া একমাত্র দল মাশরাফি বিন মুর্তজার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবং পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা রংপুর রাইডার্স। খেলাগুলো সরাসরি সম্প্রচার করছে চ্যানেল নাইন এবং সনি সিক্স।
সূত্র: কালের কণ্ঠ