সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
জাতীয় ক্রিকেট লিগের চলতি মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের ইতিহাসে অনন্য রেকর্ড গড়েছেন তামিম ইকবাল।
নিজেকে ও সতীর্থ নাসির হোসেনকে ছাড়িয়ে রকিবুলকে স্পর্শ করতে বাকি ছিল মাত্র ১৩ রানের।
তাও টপকে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়লেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
ইনিংস ঘোষণার আগে ৩৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তামিম।
গতকালই নিজের সর্বোচ্চ ১৯৫ রানের রেকর্ড ভেঙে ২২২ করে দিন শেষ করেছিলেন তামিম।
আজ রোববার তৃতীয় দিনের মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই ৩০০ রানের অনন্য মাইলফলকটি স্পর্শ করেন দেশসেরা এ ওপেনার।
৪০৭ বলে ৪০ বাউন্ডারিতে ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি সাজিয়েছেন তিনি।
ট্রিপল সেঞ্চুরি পূরণের পরই দ্রুত রান তোলার দিকে মনোযোগী হন। পাঁচ বলে তিন ছক্কা হাঁকান। শুভাগত হোমের বলে ছক্কা হাঁকানোর পর সোহরাওয়ার্দি শুভর দুটি বলকে উড়িয়ে বাউন্ডারি পার করেন তামিম।
তামিম যখন ৩৩৪-এ ইস্ট জোনের রান তখন ২ উইকেটে ৫৫৫ রান। সে রানেই প্রথম ইনিংসের ঘোষণা দেয় ইস্ট জোন।
যদিও চাইলে ইনিংসকে আরও দীর্ঘ করে ৪০০ রানের মাইলফলক ছুঁতে চেষ্টা করতে পারতেন তামিম। কিন্তু ইনিংস ঘোষণার কারণে ৩৩৪-এ থামতে হলো তামিমকে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্রিকেটের বরপুত্র স্যার ডন ব্র্যাডম্যানকে সম্মান দেখিয়েছেন তামিম। টেস্ট ক্রিকেটে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের সর্বোচ্চ রানও কিন্তু ৩৩৪ রান।
ইনিংস ঘোষণা শেষে প্রতিপক্ষ সেন্ট্রাল জোনের ক্রিকেটাররাও তামিমকে অভিনন্দন জানাতে কার্পণ্য করেনি।
৪২৬ বলের এই দীর্ঘ ইনিংসে ভুল বলতে কিছুই করেননি তামিম। তার ইনিংসকে ‘কি অসাধারণ ব্যাটিং’ বলে প্রশংসা করতে ভোলেননি ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের ক্রিকেটাররা। তামিমের অপরাজিত ৩৩৪ রানের ইনিংসে ৪২ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কার মার ছিল, যার স্ট্রাইকরেট ৭৮.৪০।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা ইনিংসগুলোর ক্রম তালিকায় সবার ওপরে লেখা হলো তামিম ইকবাল খান।
তার পরেই রকিবুল হাসান ৩১৩। এর পর যথাক্রমে নাসির হোসেন ২৯৫, মার্শাল আইয়ুব ২৮৮, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ২৮২ ও শামসুর রহমান ২৬৭।