গ্রামবাসী জানান, গত ৪ মাস আগে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার মহেশ্বরচাঁদা গ্রামের আসাদুল ইসলামের মেয়ের সাথে পার্শ্ববর্তী শালিখা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শাশুড়ি সুফিয়া খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন বিল্লাল। বিষয়টি গত কয়েক দিন আগে ফাঁস হয়ে পড়ে। এ নিয়ে আসাদুল ও স্ত্রী সুফিয়ার মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে বুধবার দুপুরে আসাদুল পাশ্ববর্তী মাঠে গিয়ে কীটনাশক পান করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।মহেশ্বরচাদা গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল গনি জানান, জামাই বিল্লাল হোসেন ও শ্বাশুড়ির সুফিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্কের কারণে বুধবার বিকালে কীটনাশক পান করে আসাদুল। এর পর সে মারা যায়। এ ঘটনার পর জামাই বিল্লাল হোসেন ও সুফিয়াকে গ্রামবাসী আটক করে রেখেছে। জামাই বিল্লাল হোসেন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন।
বিল্লাল হোসেন বলেন, আমার বিয়ে হয়েছে ৪ মাস। আমি মোটর গাড়িতে কাজ করি। শ্বশুরবাড়িতে আসার সময় পাইনা। এ সব সাজানো নাটক এবং গ্রামবাসী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি ইউনুচ আলী জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তার কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।