হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে ৪ জুলাই। আজ হজক্যাম্পে ওঠা শুরু করবেন হজযাত্রীরা। ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ হজযাত্রীর বড় সংখ্যক পবিত্র হজযাত্রার আগে হজক্যাম্পে অবস্থান করবেন।
প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি এয়ারলাইন্স হজযাত্রী পরিবহন করবে।
রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্প পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, হজযাত্রীদের সব ধরনের সেবা দিতে প্রস্তুত হজক্যাম্প। এর আগে ১ মাস ধরে ধোয়ামোছা আর রং লাগানোর কাজ চলেছে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বিমান জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ে, নির্বিঘ্নে হজ-ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। মৌসুমের প্রথম হজ ফ্লাইটটি (বিজি-৩০০১) ৪ জুলাই সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ৪১৯ হজযাত্রী নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ ওই সময় বিমানবন্দরে হজযাত্রীদের বিদায় জানাবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একই দিনে ফ্লাইট বিজি-৩১০১ বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে, বিজি-৩২০১ বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে, বিজি-৩৩০১ সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে এবং শিডিউল ফ্লাইট বিজি-০০৩৫ রাত ৮টা ১৫ মিনিটে জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে। চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে এ বছর ১৯ ও ৩টি হজ-ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। বাংলাদেশ থেকে এ বছর প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে হজ-ফ্লাইট ও শিডিউল ফ্লাইটে বিমানে যাবেন মোট ৬৩ হাজার ৫৯৯ জন, এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭ হাজার ১৯৮ জন, ৫৬ হাজার ৪০১ জন যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।
বলা হয়েছে, এ বছর বিমান হজযাত্রীদের উড়োজাহাজের সামনের অপেক্ষাকৃত বড় ও আরামদায়ক আসন নেয়ার ক্ষেত্রে ওয়ানওয়েতে ১০০ ডলার বা সমপরিমাণ টাকা এবং রিটার্ন যাত্রা (যাওয়া-আসা) ২০০ ডলার বা সমপরিমাণ টাকা দিতে হবে। চলতি বছর হজযাত্রীদের ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা পরিবহনের জন্য বিমানের ৪টি নিজস্ব বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর উড়োজাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে চলাচলকারী বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটের হজযাত্রীরা জেদ্দায় যাবেন। ঢাকা থেকে জেদ্দা প্রতিটি ফ্লাইটের উড্ডয়ন কাল হবে আনুমানিক ৭ ঘণ্টা। প্রথমবারের মতো এ বছর কিছু ফ্লাইটের জেদ্দা বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম ঢাকা থেকেই সম্পন্ন করা হবে। এজন্য সৌদি আরবের একটি ইমিগ্রেশন টিম ঢাকায় অবস্থান করবে।