সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
পাকিস্তান হার্ডহিটার ক্রিকেটার আসিফ আলির মেয়ে আর নেই। গেল কয়েক মাস ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিল সে। অবশেষে সেই যুদ্ধে হেরে গিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে মেয়েটি। রোববার যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছে ও।
মেয়ে যখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিল, তখন আসিফ ইংল্যান্ডে ক্রিকেট খেলায় ব্যস্ত ছিলেন। ওই দিন ইংলিশদের বিপক্ষে ৫ ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে মাঠে নামে পাকিস্তান। ব্যাট হাতে তিনি করেন ১৭ বলে ২২ রান। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটিও ৫৪ রানে হেরে যায় সফরকারীরা।
আসিফ যখন স্বাগতিকদের বিপক্ষে রান পেতে লড়ছিলেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রে জীবনের অন্তিম মুহূর্ত পার করছিল মেয়ে। সিরিজ শেষে দু’একদিনের জন্য সেখানে যাওয়ার কথা ছিল বাবার। তবে শেষবারের মতো মেয়ের মুখ দেখা হলো না তার।
গেল কয়েক মাস ধরে মার্কিন মুলুকে চিকিৎসা চলছিল মেয়ের। একরকম মৃত্যুর প্রহর গুনছিল। অথচ এ সময়ে দেশের হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে খেলে বেড়াচ্ছেন আসিফ। ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। কঠিন পরিস্থিতিতে তার খেলে যাওয়ার বিষয়টিকে দুঃসাহসিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন অনেকে।
আসিফের মেয়ের মৃত্যুতে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) তার দল ইসলামাবাদ ইউনাইটেড গভীর শোক প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি জানিয়েছে, আসিফের মেয়ের বিয়োগান্তিক মৃত্যুতে শোকাহত ইসালামাবাদ পরিবার। তার পরিবারের প্রতি আমাদের দোয়া রইল। এ রকম পরিস্থিতিতেও ক্রিকেটকে ভালোবেসে খেলে যাওয়ায় অসীম শক্তি ও সাহসের পরিচয় দিয়েছে সে। ও আমাদের অনুপ্রেরণা।
সর্বোপরি আবেগ সামলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রেখে দেশের হয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়া বাবা আসিফ সবার শ্রদ্ধা পাওয়ার দাবিদার।
দুয়ারে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ-২০১৯। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরের জন্য পাকিস্তানের ঘোষিত প্রাথমিক স্কোয়াডে ছিলেন না আসিফ। তবে আইসিসির নিয়মানুযায়ী, ২৩ মে পর্যন্ত খেলোয়াড় পরিবর্তন করার সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাকে দলে টেনেছে পাকিস্তান।
আসিফের প্রতিভা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। খেলতে পারেন বড় শট। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে দিতে পারেন ফিনিশিং টাচ। পিএসএলে ও ঘরোয়া ক্রিকেটে অন্যতম দামি খেলোয়াড় তিনি।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেটি বৃষ্টিতে ভেসে যায়। ফলে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি আসিফ। দ্বিতীয় ম্যাচে সুযোগ পেয়েই জ্বলে ওঠেন তিনি। মাত্র ৩৬ বলে ৫১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন এ ব্যাটসম্যান। পরের ম্যাচে খেলেন ৪৩ বলে ৫২ রানের টর্নেডো ইনিংস। এতে বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়ার দাবি জোরালো হয় তার।