সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
খুলনা জেলা কারাগারে সার্বক্ষণিক ডাক্তারের অভাবে পর্যাপ্ত সেবা পাচ্ছে না বন্দিরা। ফলে জেলা কারাগারের বন্দিদের যে কোনো সমস্যায় ওষুধ দেয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ সেবার কাজ করছেন ফার্মাসিস্ট। বন্দিদের সামান্যতম সমস্যা দেখা দিলে বেশিরভাগ সময় হাসপাতালে পাঠাতে হচ্ছে।
বাড়ছে কারাগার থেকে হাসপাতালে নেয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যয়। জেলা কারাগারের সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রায় দুই হাজার বন্দি রয়েছে খুলনা কারাগারে। এদের মধ্যে বহির্বিভাগে বিভিন্ন সমস্যায় গড়ে আড়াইশ’ রোগী স্বাস্থ্যসেবা নেয়। এছাড়া বর্তমানে আন্তঃবিভাগে ২০-২৫ জন বন্দি ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে অর্থোপেডিক, কার্ডিওলোজি, ডায়াবেটিক রোগীরাও আছেন।
জানা গেছে, কারাগারে বন্দিদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য ১ জন ডাক্তার এবং ২ জন ফার্মাসিস্ট থাকার নিয়ম। তবে ডাক্তার না থাকায় সদর হাসপাতালের আরএমও (আবাসিক মেডিকেল অফিসার) ডা. মাহবুব ভারপ্রাপ্ত ডাক্তারের দায়িত্ব পালন করছেন। ফার্মাসিস্টের দায়িত্বে আছেন মাত্র ১ জন।
তবে পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহসহ যে কোনো ছোটখাটো বিষয়ে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে বন্দি রোগী পাঠানো হয় বলে দাবি করেছে জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ। খুলনা বিভাগের একটি মেট্রোপলিটন শহরের মধ্যে খুলনা জেলা কারাগারটি পড়েছে। ১০টি জেলা কারাগারের অনেক বন্দিকে খুলনা জেলা কারাগারে আনা হয় উন্নত সেবার জন্য।
বন্দি সূত্রে জানা গেছে, পর্যাপ্ত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বন্দিরা। ডাক্তারের অভাবের কারণে ফার্মাসিস্ট তাদের সেবা দিচ্ছেন। কারাগার হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে ২০ থেকে ২৫ জন রোগী সার্বক্ষণিক চিকিৎসাধীন থাকেন। কিন্তু ডাক্তার না থাকায় এই রোগীদের ফার্মাসিস্টের ওপর নির্ভর করে থাকতে হয়। আন্তঃবিভাগে কার্ডিওলোজি, অর্থোপেডিক, ডায়াবেটিক ও ব্লাড প্রেশারের মতো মারাত্মক রোগী থাকেন। ছোটখাটো সমস্যা দেখা দিলেই তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বন্দিরা জানান, জেলা কারাগারে প্রায় দুই হাজার বন্দি রয়েছে। সেখানে কোনো ডাক্তার নেই। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বিভাগের বিভিন্ন জেলা কারাগার থেকে এখানে বন্দিরা আসেন উন্নত সেবা নিতে। ডাক্তার না থাকায় সব বন্দিকেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। জেলা কারাগারের ফার্মাসিস্ট হৃদয় চৌধুরী বলেন, প্রযোজনীয় সব ওষুধই বন্দিদের সরবরাহ করা হয়। ডাক্তার না থাকায় সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. মাহাবুব এখানকার দায়িত্বে আছেন।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলে তাকে কল করে নিয়ে আসি। জেলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. মাহাবুব বলেন, একজন স্থায়ী ডাক্তার প্রয়োজন বলে সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত জানিয়েছি। আমি সার্বক্ষণিক জেলা কারাগারে থাকতে পারি না। প্রয়োজন হলে যাই। জেলা কারাগারের জেলার জান্নাত-উল-ফরহাদ বলেন, বিভাগের অন্য জেলা থেকে অসুস্থ রোগীরা এ জেলা কারাগারে আসে। এখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কারও সমস্যা হলে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।