বুধবার , ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ | ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

মাদক নির্মূলে প্রতিষ্ঠা হচ্ছে নতুন ব্যাটালিয়ন: র‌্যাব ডিজি

Paris
জানুয়ারি ২৩, ২০১৯ ৯:০৫ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ মাদক নির্মূলের বিষয়ে বলেছেন, মাদক নির্মূলকে সামনে রেখেই কক্সবাজারে র‌্যাবের একটি নতুন ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।

বুধবার রাজধানীর কুর্মিটোলায় অবস্থিত র‌্যাব প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্র্যাব কার্যনির্বাহী পরিষদের নবনিযুক্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

র‌্যাব ডিজি বলেন, আমরা গভীরে কাজ করি। চুনোপুটি ধরছি না। রাঘব-বোয়ালদের দিকে দৃষ্টি রয়েছে। মাদক নির্মূলকে সামনে রেখেই কক্সবাজারে র‌্যাবের একটি নতুন ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। শিগগিরই সেখানে র‌্যাবের নতুন ব্যাটালিয়ন উদ্বোধন করা হবে।

তিনি বলেন, র‌্যাব সেখানে ৩-৪ বছর কাজ করতে পারলেই ওই অঞ্চলে মাদক নির্মূল করা সম্ভব হবে। এরপর সেখানে ট্যুরিজম এবং নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চলের নিরাপত্তায় মনোযোগী হবে র‌্যাব।

বেনজীর আহমেদ বলেন, চুরি, ডাকাতি, খুন ও অপহরণের মতো ট্র্যাডিশনাল অপরাধ কমেছে। কিন্তু অর্থনৈতিক ও সাইবার অপরাধ বেড়েছে। এই দুই ধরনের অপরাধকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। অর্থনৈতিক অপরাধ নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনে ২-৩ বছরের জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করা জরুরি।

মতবিনিময় সভায় র‌্যাব অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল মো, জাহাঙ্গীর আলম, ডিআইজি জামিল আহমেদ, র‌্যাব পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান, সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, ক্র্যাব সভাপতি আবুল খায়ের, সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ার, সহসভাপতি মিজান মালিক এবং যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, নির্বাচনের আগে কোনো রাজনৈতিক দল যখন ইশতেহার দেয় তখন তা থাকে দলীয় ইশতেহার। আর যখন ওই দল ক্ষমতায় আসে তখন তা রাষ্ট্রীয় ইশতেহারে পরিণত হয়। নতুন সরকার জঙ্গি, মাদক, সন্ত্রাস এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অপসহীন। দুর্নীতির বিষয়ে র‌্যাবের এখতিয়ারের মধ্যে নেই। অপর তিনটি বিষয়কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েই র‌্যাব সামনের দিনগুলোতে নতুন কর্মপরিকল্পনা সাজাবে।

তিনি বলেন, আজকাল মানুষ ফ্ল্যাট বা জমি বিক্রি করার পর তা বুঝিয়ে দিচ্ছে না। টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করছে না। এসব ক্ষেত্রে মামলা হলেও তেমন ফল পাওয়া যাচ্ছে না। জামিনে বেরিয়ে আসার পর ওই অপরাধী বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়। কারণ, কোনো মামলায় কারও জামিন হয়ে গেলে তাকে আটক বা গ্রেফতার করা যায় না। আবার একটি বিষয় নিয়ে দুটি মামলা দায়ের করাও সম্ভব না।

বেনজীর আহমেদ বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ বিএনপির সবচেয়ে বড় ভুল ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো। তারা মনে করেছিল অপপ্রচার চালালেই কাজ হবে। কিন্তু এটা তাদের জন্য কাল হয়েছে। তাছাড়া তরুণ প্রজন্ম কী চায়, তা বিএনপি বুঝতে পারেনি। তরুণ প্রজন্ম চায় না যে, দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়ে যাক, বা উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হোক। বিএনপি মনে করেছিল দেশের মানুষ গণবিস্ফোরণের জন্য মুখিয়ে আছে। একটু উসকানি দিলেই তারা গণ-আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে। কিন্তু বাস্তবতা ছিল ভিন্ন।

র‌্যাব ডিজি বলেন, দুর্নীতির মতো অর্থনৈতিক অপরাধ নিয়েও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ করা খুব একটা সুযোগ নেই। অর্থনৈতিক অপরাধ দমন করতে হলে প্রয়োজনে অস্থায়ী আইন তৈরি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়িত্ব দেয়া উচিত। আমরা এ দায়িত্ব নিতে চাই। যারা অর্থনৈতিক অপরাধের শিকার, তাদের দিকে তাকালে অনেক কষ্ট লাগে। কেউ কারও টাকা মেরে দিলে বর্তমান আইনে আমরা প্রতারককে ডাকতেও পারি না। আমাদের কাছে যত অভিযোগ আসছে তার ৭০ ভাগই অর্থনৈতিক অপরাধ সংক্রান্ত। কিন্তু এসব অপরাধের বিষয়ে আমরা কিছু করতে পারছি না।

র‌্যাবের কর্মপরিধি তুলে ধরে ডিজি বলেন, আমরা খাদ্যে ভেজাল নিয়ে কাজ করছি। ভেজালবিরোধী অভিযান চালানে আগে মানুষ ভুল বুঝত। মানুষের মধ্যে এখন অনেক সচেতনতা এসেছে। কয়েক বছর আগেও এ দেশে বছরে ৭০০ টন ফরমালিন আমদানি করা হতো। এখন এটা ১০০ টনেরও কম আমদানি হয়। এখন যেটা আমদানি হয় সেটা করকারখানাসহ নানা প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহৃত হয়। আগে বছরে ৬০০ টন ফরমালিন খাদ্যে ব্যবহার করা হতো।

বেনজীর আহমেদ বলেন, গৃহকর্মী নির্যাতনে বিষয়েটিকে র‌্যাব খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখে। গৃহকর্মীদের জন্য যে আইন হচ্ছে তাকে যেন কর্মঘণ্টা নির্ধারণ করা হয় সে বিষয়ে নজর দিতে তিনি সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান।

র‌্যাব ডিজি আরও বলেন, ইসলামিক স্টেট (আইএস) নিয়ে অনেক বড় ষড়যন্ত্র হয়েছিল। ষড়যন্ত্রকারীরা এটা প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিল যে, এই দেশে আইএস আছে। আর এটা প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে দেশের অর্থনীতির বড় ক্ষতি হয়ে যেত। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই হলি আর্টিজান হামলা হয়েছিল। অনেক কষ্ট করে ওই ষড়যন্ত্র থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পেরেছি।

 

সর্বশেষ - জাতীয়