নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী নগরীর কলেজিয়েট স্কুলের ১৯০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নতুন ও পুরাতন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগ্রহকৃত টাকা নিয়ে নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ১৯০ বছর পূর্তি কমিটির আহ্বায়কের কাছে বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনাসহ অর্থের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জানতে চাইলে স্কুলের ভেতরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে স্কুলের আহ্বায়ক ও প্রধান শিক্ষক ড. নূরজাহান বেগম বলেন, টাকা-পয়সা নিয়ে কোনো ধরনের দুর্নীতি হয়নি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় এ ঘটনা ঘটে।
স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠানের বিষয়ে সভা ছিলো। সভা চলাকালে অনুষ্ঠানের খরচসহ সংগ্রহকৃত অর্থের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জানতে চায় শিক্ষার্থীরা। এসময় উদযাপন কমিটি অনুষ্ঠানের খরচসহ শিক্ষার্থীদের যে জিনিসগুলো দেয়া হবে তার বিবরণ তুলে ধরেন। তবে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, তাদের জন্য যেসব জিনিস কেনা হয়েছে সেসব জিনিসের দাম বেশি ধরা হয়েছে। আর মানের দিক থেকেও ভালো নয়। এনিয়ে কমিটির আহ্বায়ক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শিক্ষার্থীরা আরো অভিযোগ করেন, অনুষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশনের টাকা স্কুলের প্রধান শিক্ষক তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রেখেছেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের দেওয়ার জন্য কেনা গেঞ্জি ও ব্যাগগুলো নিম্নমানের। এগুলোর যে দাম ধরা হয়েছে, তা নায্যমূল্য থেকে অনেক বেশি।
অভিযোগের বিষয়ে পূর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক নূরজাহান বলেন, কোনো প্রকার দুর্নীতি হয়নি। ঘটনাটি বহিরাগতরা ঘটিয়েছে। এসময় কলেজের কয়েকজন ছিলো। তারা চায় না এমন অনুষ্ঠান হোক। তিনি আরো বলেন, ৪ হাজার ২০০ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছেন। সবমিলে ২৫ লাখ টাকা উঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে, অনুষ্ঠানে ৬০ লাখ টাকা খরচ হবে।
জানা যায়, চলতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১৯০ টাকা, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের থেকে ৬৯০ টাকা নেয়া হয়েছে। এছাড়া ২০০৮ সালের আগের শিক্ষার্থীদের থেকে ১ হাজার ১৯০ টাকা চাঁদা ধরা হয়। সবমিলিয়ে টাকা উঠেছে ২৫ লাখ।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ২৫-২৬ তারিখ কলেজিয়েট স্কুলের ১৯০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে।
স/শা