বুধবার , ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

দরিদ্রতাকে জয় করে এগিয়ে যাচ্ছে দুর্গাপুরের মেধাবীরা

Paris
সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৬ ৮:৫৩ পূর্বাহ্ণ

গোলাম রসুল, দুর্গাপুর

দরিদ্রতাকে জয় করে দুর্গাপুর উপজেলা থেকে শত’শত মেধাবী শিক্ষার্থী জেলা শহরের  বিভিন্ন  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে  পড়াশোনা করছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর পরিবার  দিনমুজুর ও কৃষক। তার পরেও তাদের শেষ সম্বল দিয়ে পড়াশোন করাচ্ছেন তাদের সন্তানদের।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলা থেকে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষার্থী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী সিটি কলেজ, নিউ গর্ভ: ডিগ্রী কলেজ, মহিলা কলেজ রাজশাহী পলিটেকনিকেল,   মহিলা পলিটেকনিকেলসহ সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়া শোনা করে। মুলত তারা তাদের পিতার কষ্টে অর্জিত টাকা দিয়ে আবার নিজেরা তাদের উপার্জনের টাকা দিয়ে পড়া লেখা করছেন।
উপজেলার বহরমপুর গ্রামের দিনমুজুর আজিমুদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলাম সিল্কসিটি নিউজকে জানান, অনেক কষ্ট করে  তিনি ভ্যান গাড়ি চালিয়ে আবার কখনো মানুষের জমিতে কাজ করে পড়া লেখার খরচ জোগিয়ে পড়াশোনা করে আসছেন। তিনি রাজশাহী সিটি কলেজের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
এদিকে উপজেলার হোজা গ্রামের জাকির হোসেন তিনিও মানুষের খেত খামারে কাজ করে অর্থ উপার্যন করে রাজশাহী কলেজে লেখা পড়া চালিয়ে যাচ্ছেন।
দুর্গাপুর পৌর এলাকার সিংগা গ্রামের দিনমুজুর আজিজুল হক এর ছেলে শাহিন সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ছোট বেলা থেকেই তিনি অনেক কষ্ট করে পড়া লেখা করে আসছেন। তিনি বাচ্চাদের পাইভেট ও মানুষের জমিতে কাজ করে নিজের উপার্যনের টাকা দিয়ে রাজশাহীতে পড়া লেখা করেন।সে রাজশাহী কলেজের দ্বতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
শাহিন আরো জানান,দুর্গাপুর বাজার থেকে বাস চলাচল না করা অটো ধরে কলেজ যেতে প্রায় দিন ক্লাস মিস হয়ে যায়। কলেজ কর্তৃপক্ষ যদি দুর্গাপুর বাজার থেকে একটি বাস দেওয়া ব্যবস্থা করে তাহলে এই উপজেলার শতশত শিক্ষার্থী সময়মত ক্লাস করতে পারবে ও দুর্ভোগ লাগব হবে।
এছাড়াও দরিদ্রত কে জয় করে উপজেলার পানানগর গ্রামের মতিউর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে, চৌবাড়িয়া গ্রামের হাবিল রাজশাহী কলেজে,হোজা গ্রামের জাকির হোসেন রাজশাহী কলেজ, বহরমপুর গ্রামের নাইম হোসেন রাজশাহী পলিটেকনিকেলে, আমগাছি গ্রামের রাব্বি নিউগভঃ ডিগ্রী কলেজে পড়াশোনা করে আসছেন।
তাদের মতো উপজেলা বিভিন্ন এলাকার শত পরিবারে সন্তন দারিদ্রতাকে জয় করে জেলা শহরে পড়াশোনা করছে।
এবিষয়ে দুর্গাপুর ডিগ্রী কলেজে প্রভাষক আমিনুল হক টুলু সিল্কসিটি নিউজকে জানান, দুর্গাপুর উপজেলা থেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য জেলা শহরে হাজার হাজার ছেলে মেয়ে পড়া শোনা করেন। তাদের ভেতরে অধিকআংশ শিক্ষার্থী তাদের নিজ খরচে পড়াশোনা করেন।

 

তিনি আরো জানান, এমন শিক্ষার্থী আছেন যারা বাড়িতে হাস মুরগিসহ বিভিন্ন পশু পালন,মানুষের ক্ষেতখামারে কাজ করে সেই টাকা দিয়ে তারা তাদের জ্ঞান অর্জন ও কাঙ্খিত গন্তব্যস্থলে পৌছানোর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
তবে অনেক শিক্ষর্থীরা অভিযোগ করেছেন রাজশাহীতে প্রতিটি মেসে দিনের পর দিন ব্যাক্তি স্বার্থে যে ভাবে সীট ভাড়া বৃদ্ধি করা হচ্ছে, তাতে করে শিক্ষার্থীদের পাড়াশোনা করা আরো কষ্টসার্ধ হয়ে পড়ছে। এমনকি অনেক মেস মালীকরা অর্থের জন্য ৪ সীটের কক্ষকে বানিয়ে ফেলছেন ৬ সীট। এতে করে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এবিষয়ে শিক্ষর্থীদের প্রতি বিবেচনা করে মেসের সীট ভাড়া সমনযতা রাখার জন্য মেস মলিকদের প্রতি ও সংশ্লীষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন দুর্গাপুরের গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীরা।

স/আর

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর