সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
সিলেট সমাবেশের মধ্যদিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
বুধবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর ২টায় সিলেট নগরের রেজিস্টারি মাঠে আয়োজিত সমাবেশকে স্মরণীয় করে রাখতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে স্থানীয় বিএনপির ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে ঘরোয়া প্রস্তুতি থাকলেও সমাবেশে পুলিশি অনুমতি পাওয়ার পর নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। মামলা-মোকদ্দমায় জর্জরিত নেতাকর্মীরা এখন ব্যস্ত কর্মসূচি সফলে। সমাবেশে ব্যাপক জনসমাগমের টার্গেট নিয়ে দফায় দফায় চলছে প্রস্তুতি সভা। শুধু বিএনপির ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনই নয়, সমাবেশকে সামনে রেখে প্রথমবারের মতো বৈঠক করেছেন সিলেটের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
সমাবেশের প্রস্তুতি পর্ব দেখতে মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) সিলেট যাচ্ছেন ঐক্যফ্রন্টের অগ্রবর্তী দল। ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও সিলেট সমাবেশের সমন্বয়ক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও সদস্য মোহাম্মদ শাহজাহান সোমবার (২২ অক্টোবর) রাতেই সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়া হওয়ার কথা।
এছাড়া সমাবেশে যোগ দিতে মঙ্গলবার বিকেলে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনও সিলেট আসছেন বলে জানা গেছে। ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় অন্য নেতারা যাবেন সমাবেশের দিন বুধবার (২৪ অক্টোবর) সকালে। সব মিলিয়ে সাংগঠনিক যাত্রার শুরুতেই ঐক্যফ্রন্টের সিলেট সমাবেশ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, সিলেট সমাবেশ থেকে দেশ ও জাতিকে নতুন বার্তা দেবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা।
ঐক্যফ্রন্টের সিলেটের সমাবেশের অনুমতি নিয়ে নানা অনিশ্চয়তা থাকলেও রোববার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ১৪ শর্তে নগরের রেজিস্ট্রারি মাঠে জনসভার অনুমতি দেয় পুলিশ। এরপর শুরু হয় জনসভার প্রস্তুতি।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এ সমাবেশে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতকে বাদ দিয়ে অন্যান্য দল অংশ নেবে। এর মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির চেয়ারমান আন্দালিব রহমান পার্থ, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দারসহ অন্যান্য শীর্ষ নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ড.কামাল হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য রাখবেন।
এছাড়া সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেকরতন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু প্রমুখ।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সিলেটের মুখপাত্র জেলা বিএনপি সভাপতি আবুল কাহের শামীম বাংলানিউজকে বলেন, সমাবেশ নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। সমাবেশ সফলে মাইকিং চলছে। মঞ্চ তৈরিরও কাজ চলছে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে প্রচারপত্র বিলি শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, সমাবেশ সফল করতে ইতোমধ্যে সব উপজেলায় নেতাকর্মীদের আহ্বান করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের হুমকি-ধামকি ও হয়রানির শঙ্কাতো আছেই। তবে সব কিছু ছাপিয়ে সমাবেশে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি থাকবে আশাবাদী তিনি।