বাঘা প্রতিনিধি :
রাজশাহীর বাঘায় লাভলী বেগম নামের এক গৃহবধূকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার চালিয়েছে স্বামী। শুক্রবার দিবাগত রাতে নিজ শয়ন ঘরের তীরের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার পরে লাশ ঝুলে রাখা হয়। এরপর আত্মহত্যা লাভলী আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচার করতে থাকেন তার স্বামী।
নিহত লাভলীর স্বামী উপজেলার আরিফপুর গ্রামের আলাউদ্দিন লেড়ুর ছেলে মজনুল হক মঞ্জুর। এই ঘটনায় চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মেয়ের বাবা লালু।
শুক্রবার দিবাগত রাতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
পরে লাভলী বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, বাগাতিপাড়া উপজেলার চিথুলিয়া গ্রামের লালুর মেয়ে লাভলীর (২০) বছর দুয়েক আগে সামাজিক ভাবে বাঘা উপজেলার আরিফপুর গ্রামের আলাউদ্দিন লেড়ুর ছেলে মজনুল হক মঞ্জুর (২৮) বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে কারণে-অকারণে নির্যাতন করত। এক পর্যায়ে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে লাভলীর স্বামী মজনুল হক মঞ্জু, শশুড় আলাউদ্দিন লেড়–, শাশুড়ি বেনুয়ারা বেগম, ননদ রুপা খাতুন নির্যাতন করে হত্যা করে।
পরে তারা নিজ শয়ন ঘরের তীরের সাথে গলায় ফাঁসি দিয়ে গৃহবধুর লাশ ঝুলে রেখে আত্মহত্যা করেছে মর্মে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এই রাতেই বাঘা থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় আনে।
আজ শনিবার সকালে লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে, লাভলীর মা জাহানরা বেগম মেয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর কোন কথায় বলতে পারছেনা।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী মাহমুদ বলেন, এব্যাপারে চারজনকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স/আ