বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আড়ানী পৌর বাজারে গত ছয় মাসে প্রায় অর্ধশত চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় কোনো ব্যবসায়ী মামলা করেননি। শুধু সাধারণ জিডি করা হয়েছে।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী রেলস্টেশন ও বড়াল নদের সঙ্গে সংযোগ থাকায় আগে দূরদূরান্তের ব্যবসায়ীরা আড়ানী বাজারে আসতেন। হলুদ ও আখের গুড়ের মোকাম হিসেবে আড়ানী দেশের প্রসিদ্ধ জায়গা। কাঁচামালের মোকাম ছাড়াও আড়ানীতে সপ্তাহের শনিবার ও মঙ্গলবার হাট বসে। বাজার কমিটির হিসাবমতে, এক হাজারেরও বেশি দোকান রয়েছে।
বাজার কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল হকের সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, গত ছয় মাসে বাজারে প্রায় অর্ধশত চুরি হয়েছে। বর্তমানে বাজার কমিটি না থাকায় এই চুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। আগে মোট বাজারকে নয় থেকে দশটি ইউনিটে ভাগ করে পাহারাদার নিয়োগ দেওয়া হতো। মামলা না করার ব্যাপারে তিনি বলেন, সবাই মনে করেন চোর ধরার জন্য মামলা করে প্রতিকার পাওয়ার চেয়ে ঝামেলাই বেশি।
১২ সেপ্টেম্বর রাতে মেসার্স শামীম অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঢেউটিনের দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দোকানের স্বত্বাধিকারী শামীম আহাম্মেদ বাঘা থানায় একটি জিডি করেন।
শামীম বলেন, গত ছয় মাসে চুরির ঘটনায় তিনিই শুধু থানায় জিডি করেন। চাল ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, গত আড়াই মাসে তাঁর দোকানে দুবার চুরি হয়েছে।
আড়াই মাস আগে এক রাতে আমিরুল ইসলাম, জমির উদ্দিন ও আবুল কালামের দোকানে চুরি হয়। আমিরুল ইসলাম বলেন, তাঁরা কোনো মামলা করেননি। অভিযোগ করে কি করবেন। এই বাজারে ব্যবসা করে খেতে হবে।
আড়ানী পুঠিয়া সড়কের সঙ্গেই ‘ভাই ভাই’ চালের আড়ত। আড়তের স্বত্বাধিকারী আনোয়ার হোসেন সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, দুই মাসে তাঁর দোকানে দুবার চালার টিন কেটে চোর ঢুকেছে। বাধ্য হয়ে তিনি টিনের নিচ দিয়ে রড দিয়ে গ্রিল তৈরি করে দিয়েছেন।
বাজারের ধানহাটার একজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, একদল যুবক গভীর রাতে বাজারে ঢোকে। তাঁদের কিছু বলা যায় না। অথচ চুরি হলে পাহারাদারকে দায়ী করা হবে।
বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হীরেন্দ্রনাথ প্রামাণিক বলেন, মামলা না করায় তাঁরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছেন না।
স/অ