সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ বিমানের ফিরতি হজ ফ্লাইট ঢাকায় পৌঁছাতে কয়েক ঘণ্টা করে দেরি হচ্ছে, যাতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হাজি ও বিমানবন্দরে তাদের অপেক্ষায় থাকা স্বজনরা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইন্স সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ৪১৯ জন হাজি নিয়ে প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণের কথা থাকলেও সেটি পৌঁছায় রাত দেড়টায়।
এরপর রোববার সকাল ১০টায় ৩১৭ জন এবং দুপুর ১টা ১০ মিনিটে ৪১৯ জন হাজি নিয়ে বিমানের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ফ্লাইট শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
সকালের ফ্লাইটটি প্রায় ১২ ঘণ্টা এবং দুপুরেরটা ৭ ঘণ্টা দেরিতে এসেছে বলে বিমানের ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে জানা গেছে।
চতুর্থ ফ্লাইট রোববার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে আসার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে রাত সোয়া ১০টায় গেছে।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বিমানের এক কর্মকর্তা বলেন, হাজিদের প্রতিটি ফ্লাইটই অন্তত তিন থেকে চার ঘণ্টা দেরিতে ঢাকা আসছে।
তবে এর জন্য বিমানের কোনো দায় নেই বলে দাবি করেন ওই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, হাজিরা সময়মতো জেদ্দা বিমানবন্দরে আসতে না পারায় সময়মতো ফ্লাইট ছাড়া যায় না।
“হাজিরা হজ শেষে সময়মতো বিমানবন্দরে আসেন না। তাদের যারা বিমানবন্দরে নিয়ে আসবেন তাদের অনেক সময়ই পাওয়া যায় না।”
“এসব বিবেচনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে দেরিতে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করতে হয়। এখানে বিমানের কোনো গাফিলতি বা সমস্যা নেই।”
স্বল্প সময়ের মধ্যেই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিমানের ওই কর্মকর্তা: “যত সময় যাবে হাজিরা জেদ্দা বিমানবন্দরে সঠিক সময়ে পৌঁছাবে। ধীরে ধীরে বিমানের ফ্লাইট ঢাকায় আসতে বিলম্ব ঘুচবে।”
ফ্লাইট বিলম্বের জন্য বিমান কর্মকর্তার এই বক্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি একমত নন হজ এজেন্সিজ অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি ইব্রাহিম বাহার।
তিনি বলেন, “সব সময় হাজিরা দেরি করে বিমানবন্দরে পৌঁছান বলে বিমানের বাংলাদেশ আসতে দেরি হয়- বিষয়টা পুরোপুরি এই রকম না। হাজিদের খুব কম সংখ্যকই দেরি করে বিমানবন্দরে আসেন।”
তিনি বলেন, জেদ্দা বিমানবন্দরে আলফা নামের একটি প্রতিষ্ঠান হাজিদের মালামাল বিমানবন্দরে নিয়ে আসার কাজ করে, যাকে সিটি চেক ইন বলা হয়।
“অনেক সময় এই মালপত্র নিয়ে আসতে ও প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে দেরি হয়। এছাড়াও সৌদি ইমিগ্রেশনের প্যাসেঞ্জার চেকিংয়ের কারণেও বিমান সময়মতো বাংলাদেশ আসতে পারে না এমন অভিযোগ শোনা যায়।”
এসব সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়ে হাব সভাপতি বলেন, “বিমানের কর্মকর্তারা যারা হজ ফ্লাইট সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখেন তাদের কাছে হাজিদের তথ্য থাকে। হাজিদের ১২ ঘণ্টা আগে রিপোর্ট করতে বলাও হয়। হাজিরা যেন সঠিক সময়ে বিমানবন্দরে আসেন সেটি নিশ্চিতে আরেকটু সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করলে ভালো হয়।”
এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) খান মোশাররফ হোসেনকে কয়েক দফা ফোন করেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
এবার বাংলাদেশ থেকে লক্ষাধিক নারী-পুরুষ হজ করেছেন। এদের মধ্যে ৪৯ হাজার ৫৪৫ জন বাংলাদেশ বিমান এবং বাকিদের সৌদি এয়ারলাইন্স পরিবহন করছে।
আগামী ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ফিরতি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান।
সূত্র: বিডি নিউজ